চট্টগ্রামের মাঠে ভালো বল করার টোটকা পেয়েছেন এই পেসার

এবার বিপিএলে বেশ ভালো বল করছেন এবাদত হোসেন। ছবি : শামসুল হক
এবার বিপিএলে বেশ ভালো বল করছেন এবাদত হোসেন। ছবি : শামসুল হক
>সিলেট থান্ডার্সের অনুশীলন শেষে জহুর আহমেদ চৌধুরীর উইকেটের প্রশংসা করেছেন পেসার এবাদত হোসেন। ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পথ খুঁজে বের করেছেন এ পেসার

বিপিএলে প্রশংসায় ভাসছে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট। চট্টগ্রাম-পর্বের শুরু থেকেই এখানকার উইকেটের প্রশংসা করছেন ক্রিকেটাররা। রান উঠছে প্রচুর। বোলারদের জন্য তা ভালো লাগার কথা না। তবু উইকেটের প্রশংসা করলেন সিলেট থান্ডার্সের পেসার এবাদত হোসেন। তাঁর ভাষায় ' ট্রু উইকেট'।

এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে আজ অনুশীলন করেছে সিলেট। নেটে নিজেকে ঝালিয়ে নিয়েছেন এবাদত। এবার বিপিএলে ৫ ম্যাচ খেলে ৫ উইকেট নেওয়া এবাদত ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ৭.৮২ গড়ে। জহুর আহমেদের উইকেটকে পেসারদের জন্য চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছেন তিনি। তবে চ্যালেঞ্জ জেতার পথও বের করেছেন এবাদত। জাতীয় দলে খেলা এ পেসার খেয়াল করে দেখেছেন, জহুর আহমেদের উইকেটে পেসারদের লেংথ বল খুব একটা কাজে আসে না।

সংবাদমাধ্যমকে সে কথাই বলেছেন এবাদত, 'এখানে লেংথ বলগুলো সবাই মারছে। এ জায়গায় এভাবে বল করা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে ইয়র্কার ও পেস বৈচিত্র্যে রান করা কঠিন হয়ে উঠছে (ব্যাটসম্যানদের জন্য)।' কৌশলগত দিক থেকে এবাদতের কথাটা একেবারে মিথ্যে না। এখানকার উইকেট থেকে বল ওঠা-নামা খুব কমই করে। প্রত্যাশিত মাত্রায় বল ব্যাটে পেয়ে থাকেন ব্যাটসম্যানেরা।

এ কারণে গতির বৈচিত্র্য কিংবা ইয়র্কার দিয়ে রান আটকানোর চেষ্টা করছেন পেসাররা। গতির ওঠা-নামায় ব্যাটসম্যানের টাইমিংয়ে হের-ফের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর ইয়র্কারে রান আটকানোর পাশাপাশি উইকেট নেওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। এবাদত জানালেন তিনি কাজ করছেন ইয়র্কার ডেলিভারি নিয়ে, ' আমি ইয়র্কার আরও নিখুঁত করার চেষ্টা করছি। যেন ভালো জায়গায় ফেলতে পারি। গতি বৈচিত্র্য রাখারও চেষ্টা করছি। এখানে লেংথ বল সবাই ভালো খেলতে পারে। কারণ বল সুন্দর আসে ব্যাটে।'

বিপিএলে কাল দুপুরের ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের মুখোমুখি হবে সিলেট থান্ডার্স।