নেইমারকে 'রাজা' মেনে নিয়েছেন এমবাপ্পে

নেইমার-এমবাপ্পে জুটির রসায়ন আবার দেখা যাচ্ছে মাঠে। ছবি: এএফপি
নেইমার-এমবাপ্পে জুটির রসায়ন আবার দেখা যাচ্ছে মাঠে। ছবি: এএফপি

২০১৭ সালে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে গিয়েছেন নেইমার। তার এই দলবদল চমকে দিয়েছিল সবাইকে। বার্সেলোনার মতো পরাশক্তিদের ফেলে কেন পিএসজিতে যাচ্ছেন,এটা বুঝে উঠতে পারছিলেন না অনেকেই। অনেকেই বলেছেন দশ নম্বর জার্সি পরার কথা, নেইমার বলেছেন নতুন চ্যালেঞ্জ পাওয়ার অপেক্ষায়। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামত হলো, মেসির আড়ালে থেকে ক্লান্ত নেইমার চাচ্ছিলেন একচ্ছত্র আধিপত্য করতে। এ কারণেই পিএসজিতে নিজের রাজত্ব গড়তে গিয়েছেন।

আড়াই বছরের মাথায় সে রাজ্যপট হারাতে বসেছেন নেইমার। তারকাখ্যাতি ও পারফরম্যান্সে নেইমারকে ছাড়িয়ে গেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। নেইমারের মতো চমক জাগিয়ে একই দলবদলে এমবাপ্পেকে নিয়ে এসেছিল পিএসজি। এর পর শুধু নেইমারকে পারফরম্যান্সে ছাড়িয়ে যাননি, একটি বিশ্বকাপ জিতেছেন। ব্যালন ডি অর জয়ের দৌড়ে মেসির সঙ্গে পাল্লা দিয়েছেন। যদিও এমবাপ্পের দাবি, তিনি সরাসরিই নেইমারকে জানিয়ে দিয়েছেন পিএসজির রাজত্ব কেড়ে নেওয়ার কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।

নেইমারের রাজত্ব অবশ্য ২০১৮ সালেই এমবাপ্পের দখলে চলে যাচ্ছিল। বিশ্বকাপ থেকে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছিলেন নেইমার। আর ওদিকে বিশ্বকাপ জিতে এসেছেন এমবাপ্পে। পিএসজির দোকান গুলোতে নেইমার নয়, এমবাপ্পের পোস্টার দিয়ে সাজানো শুরু হয়েছিল। তখনই আলোচনা উঠেছিল নেইমারের রাজত্ব এমবাপ্পেকে বুঝিয়ে দিচ্ছে কাতারের মালিকানাধীন দলটি। কিন্তু এ আলোচনা থামিয়ে দিয়েছেন নেইমার। নিজেই নেইমারের সঙ্গে কথা বলে সব গুঞ্জন থামানোর চেষ্টা করেছেন। ফ্রান্সের এ বছরের সেরা খেলোয়াড় হওয়ার পর ফ্রান্স ফুটবলের সঙ্গে কথোপকথনে পিএসজিতে আসার পর শুরুর দিককার কথা জানিয়েছেন, ‘আমি যখন প্যারিসে এলাম, তখন এ নিয়ে কোনো বিতর্ক ছিল না। নেইমার ছিল মহাতারকা, আমি এসেছি তাঁকে সাহায্য করতে।’

এরপরই পরিস্থিতি বদলে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগের পর চোট পান নেইমার। এরপরই আলোটা কেড়ে নিয়েছেন এমবাপ্পে। কিন্তু তবু নেইমারের রাজত্ব কাড়ার চেষ্টা করেননি এমবাপ্পে, ‘সে চোটে পড়ল। বিশ্বকাপেও ভালো করেনি এবং আমি জিতেছি। এ সময় গল্প ছড়ানো শুরু হলো, আমাদের মাঝে লড়াই চলছে। আমি নাকি তার জায়গা নিতে চাই। আমি এটা শুনে খুবই আহত হয়েছি। ২০১৮ এর আগস্টে যখন ক্যাম্পে যোগ দিলাম, তখন প্রথমেই আমি নেইমারের সঙ্গে কথা বললাম, “তুমি হয়তো ভালো একটা বিশ্বকাপ কাটাওনি... যেটা আমাদের (ফ্রান্স) জন্য ভালো হয়েছে। কিন্তু চিন্তা করো না, আমি এখানে তোমার পা মাড়াতে আসিনি। আমি এ বছর ব্যালন ডি’অর জেতার জন্য লড়ব কারণ তুমি এবার এর দৌড়ে নেই। কিন্তু নিশ্চিত থাক, আমি তোমার জায়গা নিতে চাই না। ওটা তুমিই রাখ। আমি সব সময় তোমাকে সাহায্য করব।”’