ডু প্লেসিকে চেনেন না ক্লপ, কোলিসিকে চেনেন

কেপটাউনের রেস্তোরাঁয় ইয়ুর্গেন ক্লপের (মাঝে) সঙ্গে ডু প্লেসি (বাঁয়ে) ও কোলিসি।
কেপটাউনের রেস্তোরাঁয় ইয়ুর্গেন ক্লপের (মাঝে) সঙ্গে ডু প্লেসি (বাঁয়ে) ও কোলিসি।

সিয়া কোলিসিকে চেনেন? 

বাংলা ভাষাভাষীরা সিয়া কোলিসিকে না চিনলে দোষের কিছু নেই। রাগবি খেলাটা পৃথিবীর এ প্রান্তে আর যাই হোক জনপ্রিয় তো নয়। কোলিসি রাগবি খেলেন, ভালোই খেলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা রাগবি দলের অধিনায়কও তিনি। কোলিসির দক্ষিণ আফ্রিকা গত মাসেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিশ্বকাপ রাগবিতে।

সেই কোলিসির বন্ধু ফাফ ডু প্লেসি। গত মাসে বন্ধুকে নিয়ে কেপটাউনের এক রেস্তোরাঁয় ডিনার করতে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ডু প্লেসি। সেখানে গিয়ে তো ডু প্লেসির চক্ষু চড়কগাছ! ইংলিশ ফুটবল ক্লাব লিভারপুলের ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ যে সেখানে উপস্থিত। এরপর যা হলো তাতে নাকি ক্লপের বড় ভক্তই হয়ে গেছেন ডু প্লেসি।

ব্যক্তিগত এক কাজেই সে সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছিলেন ক্লপ। রেস্তোরাঁয় কোলিসিকে দেখে নাকি ক্লপ নিজেই এগিয়ে এসেছিলেন। মাত্র দিন দশেক আগেই বিশ্বকাপ রাগবি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই ফাইনালটা টেলিভিশনে দেখেছেন ক্লপ, তাই কোলিসিকে দেখেই চিনে ফেলেন লিভারপুলের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী কোচ। ডু প্লেসিদের কাছে এসে কোলিসিকে অভিনন্দন জানান ক্লপ।

লিভারপুলের ভক্ত কোলিসিও বসে থাকবেন কেন। বন্ধু ডু প্লেসিকে নিয়ে ক্লপের সঙ্গে ছবিও তুলে ফেলেন। এরপর সেই ছবি ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে পোস্ট করেন দুই বন্ধু। ডু প্লেসি ক্যাপশন লেখেন ‘এখন বুঝি খেলোয়াড়েরা তাঁকে কেন ভালোবাসে।’

গত মঙ্গলবার বক্সিং ডে টেস্টের ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে ডু প্লেসিকে এক সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন, ‘তিনি (ক্লপ) কি আপনাকে চিনেছেন?’ প্রশ্নটা শুনে হেসে ফেলেন ডু প্লেসি, বলেন, ‘না’।
তবে ক্লপ যে ক্রিকেট দেখেন সেই খবরটাও দিলেন ডু প্লেসি, ‘তবে তিনি (ক্লপ) বলেছেন তিনি ক্রিকেট দেখেন। লিভারপুলের লোকজন বিশ্বকাপ ক্রিকেট দেখেছে, ইংল্যান্ড কতটা ভালো করেছে সেটিও তাঁদের ভালোই জানা।’

এরপর ডু প্লেসি স্বীকার করলেন আগে ফুটবলের খোঁজখবর তেমন রাখতেন না তিনি। তবে ক্লপের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর নাকি ভক্ত হয়ে গেছেন তিনি, ‘ও রকম বিখ্যাত এক মানুষ। তিনি অসাধারণ এক মানুষ। আমি মনে করি সত্যিকারের নেতৃত্ব তাঁর মতোই হওয়া উচিৎ। বিষয়টা হলো মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, তাঁদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ার। আমি তাঁর বড় ভক্ত হয়ে গেছি।’