আরামবাগকে গুড়িয়ে শেষ আটে ঢাকা আবাহনী

আবাহনীর আরেকটি গোল। এবার গোলদাতা নাসির উদ্দিন চৌধুরী (৪ নম্বর জার্সি)। ছবি: শামসুল হক
আবাহনীর আরেকটি গোল। এবার গোলদাতা নাসির উদ্দিন চৌধুরী (৪ নম্বর জার্সি)। ছবি: শামসুল হক
>আরামবাগকে ৫-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে ঢাকা আবাহনী।

দাপুটে এক জয়ে ফেডারেশন কাপের শেষ আটে উঠেছে ঢাকা আবাহনী। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজ আবাহনী ৫-১ গোলে হারিয়েছে আরামবাগকে। ‘এ’ গ্রুপে টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। অন্যদিকে দুই হারে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে আরামবাগ। এই গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে বাংলাদেশ পুলিশও।

আবাহনীর হয়ে গোল করেছেন সানডে সিজোবা, নাবিব নেওয়াজ, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম ও ফয়সাল আহমেদ । আরামবাগের একমাত্র গোলদাতা মুরাদ হোসেন চৌধুরী।

আরামবাগের বিপক্ষে আবাহনীর জয়টা অনুমিতই ছিল। সেই কারণেই কিনা কোচ মারিও লেমোস পুলিশের বিপক্ষে প্রথম একাদশ থেকে এক ঝাঁক পরিবর্তন আনেন । একাদশে প্রথমবার সুযোগ মেলে মামুনুল ইসলাম, শেখ রাসেল থেকে আসা সোহেল রানা, জুয়েল রানা, মিসরীয় ডিফেন্ডার আলাদিন নাসের। বদলি হিসেবে মৌসুমে প্রথমবার নামেন ফয়সাল আহমেদ, রুবেল মিয়া। প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া খেলেছে আবাহনী। প্রথমার্ধে মাত্র এক গোল করা আবাহনী, পরের অর্ধে দিয়েছে চারটি গোল। গোলগুলোর বেশির ভাগই এসেছে আবাহনীর রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের কাছ থেকে।

প্রিমিয়ার লিগ শুরুর আগে রিজার্ভ বেঞ্চটা পরখ করে বেশ সন্তুষ্ট আবাহনী কোচ, ‘সত্যি বলতে কি এই ম্যাচে আমরা ৬-৭ টা গোল করলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকত না। আমি একাদশে কিছু পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। বদলি হিসেবে ওরা অসাধারণ খেলেছে। গত মৌসুমে আমরা রিজার্ভ বেঞ্চ নিয়ে ভুগেছি। এবার তাই শুরুতে ভালো করায় খুশি।’

কাল গোল উৎসবের শুরুটা করেন সানডে। নয় মিনিটে জুয়েল রানার ক্রস থেকে প্লেসিংয়ে সানডে করেন ১-০। ৫১ মিনিটে নাবিব নেওয়াজ করেছেন ২-০। এরপর ৫৭ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রোয়ে মাথা ছুঁয়ে নাসির করেন ৩-০। পরপর তিনটি গোল হজম করে আরামবাগ কোচ মিলন মোল্লা গোলরক্ষক রাকিবুল ইসলামকে তুলে মাঠে নামান উত্তম বড়ুয়াকে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। এরপর আরামবাগ খেয়েছে আরও দুটি গোল। ৭৩ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন মামুনুল। সানডের বদলি হিসেবে নামার মিনিট তিনেক পরই ফয়সাল স্কোর ৫-০ করেন ৭৯ মিনিটে।

পুরো ম্যাচে ৮৫ মিনিটে একটাই ভালো আক্রমণ ছিল আরামবাগের। সেই আক্রমণটা রুখতে পারেননি আবাহনী জাতীয় দলের গোলরক্ষক শহীদুল ইসলাম। বক্সের মধ্যে জটলায় দাঁড়ানো আরামবাগের ফরোয়ার্ড মুরাদ করেন একমাত্র গোল।