'আইসিসির উচিত ভারতে দল না পাঠানো'

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এর ফলে ভারতকে অনিরাপদ বলে দাবি করছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। ছবি: এএফপি
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন এর ফলে ভারতকে অনিরাপদ বলে দাবি করছেন পাকিস্তানের ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। ছবি: এএফপি

জানুয়ারিতে পূর্বনির্ধারিত টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে নাও পেতে পারে পাকিস্তান। নিরাপত্তা শঙ্কায় পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলায় আগ্রহ দেখাচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও দলের সিনিয়র অনেক ক্রিকেটারই। এমন আলোচনার মাঝে পাকিস্তানকে ভারতের চেয়ে বেশি নিরাপদ বলে দাবি করেছিলেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান এহসান মানি। আর সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ দাবি করেছেন, ভারত এতটাই অনিরাপদ যে আইসিসির উচিত অন্য দেশগুলোর ভারত সফর আটকানো। 

জানুয়ারিতে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু এখনো পর্যন্ত টি-টোয়েন্টির ব্যাপারেই ইতিবাচক শোনা যাচ্ছে বিসিবিকে। ওদিকে শ্রীলঙ্কাকে দুবার ডেকে সফল দুটি সিরিজ আয়োজন করে আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান চাইছে বাংলাদেশকেও ডেকে এনে নিজেদের সবার কাছে নিরাপদ প্রমাণ করা। বাংলাদেশের নিরাপত্তা শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে এহসান মানি সপ্তাহের মাঝপথে দাবি করেছিলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতে যা হচ্ছে তাতে পাকিস্তান প্রতিবেশী দেশের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ।

এই বিতর্কিত আইনকে অস্ত্র মানছেন মিয়াঁদাদ। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝে এর আগে বেশ কয়েকবারই ভারত বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে সাবেক এই ব্যাটসম্যানকে। এবার পাক প্যাশন ডট নেটের সঙ্গে কথোপকথনে মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘আইসিসির কাছে আমার বার্তা, সব দলের ভারত সফর বাতিল করা হোক। এখন আমরা দেখব, আইসিসি কেমন ন্যায় বিচার করে। এখন তারা কী করবে, এখন তারা সারা বিশ্বকে কী বলবে।’

ভারতজুড়ে বিক্ষোভ হচ্ছে। এই বিক্ষোভ মূলত নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে। এই আইনের মধ্য দিয়ে বৈষম্যের শিকার হবেন সংখ্যালঘু মুসলমানরা। এর মানে এ নয় যে শুধু মুসলমানরা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। জাতিধর্ম-নির্বিশেষে সবাই আন্দোলনে শামিল। এ পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছেন বিক্ষোভে। ভারতের এ অবস্থাকে পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ বলে দাবি মিয়াঁদাদের, ‘আইসিসি, এগিয়ে আস এবং সবাইকে বল সত্যটা। আইসিসির যত সদস্য আছে সবাইকে বলে দাও, তারা যেন ভারতে কোনো ম্যাচ না খেলে কারণ ভারত আর নিরাপদ দেশ নয়। অন্য দেশ গুলো বরং ভারতের চেয়ে ভালো। কারণ, ওরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে, ওদের নিজেদের মানুষই নিরাপদ না। দেখুন, কী হচ্ছে সেখানে? এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’