প্রায় অবিক্রীত থাকি, আমার কাছে আশা কী - মাশরাফির প্রশ্ন

নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত নন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তিত নন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো

নভেম্বরে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নিলামে প্রথম দফায় কোনো দল নেয়নি ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। পরে দলের অষ্টম খেলোয়াড় হিসেবে ঢাকা প্লাটুন নিয়েছিল বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ককে। ঘটনাটা বেশ আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে দেশের ক্রিকেটে।

এ ‘উপেক্ষা’র মোক্ষম জবাব দেওয়ার সুযোগ মাঠে। বিপিএলের মাঝপথে অবশ্য বলার উপায় নেই মাশরাফি সেই জবাবটা দুর্দান্তভাবে দিতে পেরেছেন। ৭ ম্যাচে পেয়েছেন ৪ উইকেট। ইকোনমিও বলার মতো নয়—৮.০৯। ৭ ম্যাচের মধ্যে আজই সবচেয়ে ভালো করেছেন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এক স্পেলে টানা ৪ ওভার বোলিং করেছেন। ১৪ রানে পেয়েছেন ১ উইকেট।

নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য মোটেও চিন্তিত নন মাশরাফি, ‘নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অতটা বিচলিত নই। অনেক দিন পর মাঠে নেমেছি, চেষ্টা করছি। প্রায় পাঁচ মাস পর খেলছি। মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। কোনো ম্যাচে ভালো হচ্ছে, কোনো ম্যাচে খারাপ। ভালো-খারাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি পুরো টুর্নামেন্ট যখন খেলব…টি-টোয়েন্টি তো বলা কঠিন যে এ ম্যাচেই ভালো করব। তবে চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার।’

নিজে ধারাবাহিক ভালো করতে পারছেন না, কাগজ-কলমে ফেবারিট হয়েও পয়েন্ট তালিকায় মাশরাফির দল ঢাকার অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। এই মুহূর্তে আছে তিনে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স যেটাই হোক অধিনায়ক মাশরাফিকে এখনো রাখতে হবে সামনের সারিতে। বিপিএলে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক যে তিনিই। নিলামে দল পেতে যতই দেরি হোক, দলের নেতৃত্বভার ঠিকই তাঁর হাতে তুলে দিয়েছে ঢাকা প্লাটুন কর্তৃপক্ষ। নামটা যেহেতু মাশরাফি, তাঁর কাছে প্রত্যাশাটাও তাই বেশি।

প্রত্যাশার কথা শুনে অবশ্য হাসলেন মাশরাফি, ‘শুধু আমার কাছে কেন, সবার কাছেই সমান আশা। আমি তো প্রায় অবিক্রীতই থাকি (নিলামে)। আমার কাছে আশা করেই-বা কী! আশা করলে তো সবার আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা। সব দলই সমান প্রত্যাশা নিয়ে খেলে। আমরাও একই প্রত্যাশা নিয়ে খেলছি। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে যা দরকার সেটা করব। এখন পয়েন্ট টেবিলে চারে আছি, দৌড় থেকে যে বাইরে আছি, তা না।’

খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে শেষ চারে উঠেও যে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া যায়, ২০১৭ বিপিএলে মাশরাফির রংপুর রাইডার্স করে দেখিয়েছিল। এবার তাঁর ঢাকা প্লাটুন যদি একই পথে হেঁটে শিরোপার হাসি হাসে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!