আমি দেশ বেচিনি, বললেন কানেরিয়া

দানিশ কানেরিয়া। ছবি: এএফপি
দানিশ কানেরিয়া। ছবি: এএফপি
>

দানিশ কানেরিয়ার অভিযোগ—স্পট ফিক্সিং আর দেশ বিক্রি করা ক্রিকেটারদের পুনর্বাসিত করা হয়েছে পাকিস্তানে।

জাভেদ মিয়াঁদাদের মন্তব্যেরই জবাব এটি। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিয়াঁদাদ দানিশ কানেরিয়া সম্পর্কে বলেছেন, ‘টাকার জন্য এমন কোনো কাজ নেই যে কানেরিয়া করতে পারে না।’ মূলত কানেরিয়ার স্পট ফিক্সিং–কাণ্ডে জড়িয়ে পড়া ও পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনার দিকেই তাঁর ইঙ্গিত। কিন্তু কানেরিয়া বলেছেন, দেশকে বিক্রি করে দেওয়ার মতো কিছুই তিনি করেননি। বরং যেসব পাকিস্তানি ক্রিকেটার এ ধরনের কাজ করেছিলেন, তাঁদের মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।

স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে নির্বাসিত কানেরিয়া ১০ বছর ধরে পর্দার আড়ালেই ছিলেন। সম্প্রতি শোয়েব আখতারের এক বক্তব্যে আবার আলোচনায় তিনি। শোয়েবের অভিযোগ, কানেরিয়ার ধর্মবিশ্বাসের কারণে নাকি বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার জাতীয় দলে তাঁকে এড়িয়ে চলতেন। সাবেক ফাস্ট বোলারের এমন বক্তব্যে রীতিমতো তোলপাড়। এত বাজে সংস্কৃতি ছিল পাকিস্তান ক্রিকেটে! শোয়েব অবশ্য পরে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, দলে দুই–একজন ক্রিকেটারই এমন করতেন। তবে কানেরিয়া শোয়েবের প্রথম বক্তব্যের পরই বলেছেন, তাঁর সঙ্গে আসলেই এমন আচরণ করা হতো পাকিস্তান ক্রিকেট দলে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে কানেরিয়া বলেছেন, ‘আমি মোটেও নিজের ইউটিউব চ্যানেলের প্রচার বাড়ানোর জন্য এমন অভিযোগ করিনি। শোয়েব আখতারই টেলিভিশন টক শোতে অভিযোগটা করেছেন। বৈষম্যের বিষয়টি আমি উত্থাপন করিনি।’

তবে কানেরিয়া জানিয়েছেন, তাঁর প্রতি অনেক অবিচারই হয়েছে পাকিস্তান দলে, ‘পাকিস্তান দলের অনেক খেলোয়াড় ম্যাচ গড়াপেটা করেছে। পরে তাদের সম্মান দিয়ে দলে ফেরানো হয়। যারা টাকার জন্য দেশ বিক্রি করে দিয়েছিল, তারা এখন ক্রিকেট মাঠে, টেলিভিশনে তারা বিশেষজ্ঞ মতামত দেয়। পিসিবিতেও তারা এখন সম্মানিত। আমি অন্তত দেশ বেচিনি।’

নিজের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি, ‘আমি এমন এক লোকের জন্য স্পট ফিক্সিং–কাণ্ডে ফেঁসেছি, যিনি পিসিবিতে অনেক সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। পিসিবির কর্তাদের মাধ্যমেই তাঁর সঙ্গে আমার পরিচয়।’

৬১ টেস্টে ২৬১ উইকেট পাওয়া কানেরিয়া ছিলেন পাকিস্তানের ইতিহাসে দ্বিতীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী ক্রিকেটার। তাঁর আত্মীয় অনিল দলপুত ছিলেন প্রথম হিন্দু ক্রিকেটার। দলপুত আশির দশকে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছিলেন। ১৫টি ওয়ানডে খেলা দলপুতের অভিযোগ ছিল, ইমরান খানের কারণেই নাকি তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ার বেশি দূর গড়াতে পারেনি।