রহমতগঞ্জ বিদায় করে দিল আবাহনীকে

সানডে সিজোবার টাইব্রেকারে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দিলেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। তাঁকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। ছবি: তানভীর আহম্মেদ
সানডে সিজোবার টাইব্রেকারে নেওয়া শট ঠেকিয়ে দিলেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। তাঁকে ঘিরে সতীর্থদের উল্লাস। ছবি: তানভীর আহম্মেদ
ফেডারেশন কাপ থেকে বিদায় নিল আবাহনী। রহমতগঞ্জ সেমিতে টাইব্রেকারে জিতে


টাইব্রেকারের শেষ শটটা নিলেন আবাহনী স্ট্রাইকার সানডে সিজোবা। রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটা পাঠিয়ে দিলেন মাঠের বাইরে। মুহূর্তেই উল্লাসে মেতে উঠল রহমতগঞ্জের ফুটবলার, কোচ আর কর্মকর্তারা। আনন্দে এক কর্মকর্তা তো লিটনকে কোলে তুলে নাচতে শুরু করে দিলেন। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আন্ডারডগ রহমতগঞ্জের কাছে টাইব্রেকারে ৪ (১)-৩ (১) গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে ফেবারিট আবাহনী। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে অপরাজিত রইল রহমতগঞ্জ। 

কে জানত এই ম্যাচটা এত রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে রাখবে? নির্ধারিত সময়ের খেলা ছিল গোলশূন্য। আবাহনীর কোচ মারিও লেমোসের চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ। ডাগ আউটে অস্থির পায়চারি করছিলেন এই পর্তুগিজ কোচ। টুর্নামেন্টের আগের দুই ম্যাচে যে দল প্রতিপক্ষের জালে দিয়েছে ৯টি গোল, সেই আবাহনীই কিনা একটা গোলের জন্য হন্যে। নির্ধারিত সময়ে গোল করতে পারেননি সাদউদ্দিন, মামুনুল ইসলামরা। শেষে গোলের মুখ খোলেন কারভেন্স বেলফোর্ট। ৯৩ মিনিটের মাথায় বেলফোর্টের গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী। কিন্তু আবাহনীর আনন্দে পানি ঢেলে দেন রহমতগঞ্জের বদলি মিডফিল্ডার এনামুল গাজী।
ম্যাচের আগে কাল রহমতগঞ্জের কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী বলেছিলেন, ‘আমার ছেলেদের হারানোর কিছু নেই। বরং আবাহনীই চাপে থেকে খেলবে।’ কথাটা যে মোটেও মিথ্যা বলেননি, সেটা টের পাওয়া গেল মাঠে। রহমতগঞ্জের জমাট রক্ষণের সামনে সানডে, বেলফোর্টরা গোলের দরজা খুলতে হাঁসফাঁস করেছেন। ম্যাচের ১৭ মিনিটেই গোল পেতে পারত আবাহনী। বেলফোর্টেও ক্রস থেকে পাওয়া বলটা মারলেন বাইরে। আর ২৪ মিনিটে নাবীব নেওয়াজের শট ফিস্ট করেন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। সময় যত গড়িয়েছে ততই চাপে পড়েছে আবাহনী। ৮১ মিনিটে জীবনের আরেকটি দারুণ শট ঠেকিয়ে দেন করেন গোলকিপার লিটন। আর ৮৪ মিনিটে জটলা থেকে বেলফোর্টের বাইসাইকেল কিক গোললাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন রহমতগঞ্জের তাজিক ফুটবলার আসরোররভ।