চার বছর পর ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মোহামেডান

অনেকদিন পর সাদাকালো শিবিরে হাসি। ছবি: বাফুফে
অনেকদিন পর সাদাকালো শিবিরে হাসি। ছবি: বাফুফে
চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে চার বছর পর ফেডারেশন কাপ ফুটবলের সেমিতে মোহামেডান


স্টেডিয়ামের পশ্চিমাংশের মোহামেডান সমর্থকদের গ্যালারিতে এমন উল্লাস গত কয়েক বছরে খুব কমই দেখা গেছে। কাল ম্যাচ শেষ হতেই ডাগ আউট থেকে ছুটে এসে কোচ শন লেনকে জড়িয়ে ধরলেন রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলাররা। আর ভুভুজেলা ও সাদা-কালো পতাকা হাতে উল্লাসরত দর্শকদের উল্লাসও যেন থামছিল না। ফুটবলাররা গ্যালারির কাছে গিয়ে দর্শকদের অভিনন্দনের জবাব দিলেন করতালি দিয়ে। আজ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারানোর নায়ক মোহাম্মদ শাহেদ ও সোলেমান দিয়াবাতে।
আগামী ২ জানুয়ারি প্রথম সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জের মুখোমুখি হবে মোহামেডান। এই জয়ে ২০১৫ সালের পর প্রথমবার সেমিফাইনালে উঠল মোহামেডান।
প্রথম গোলটি করতেই মোহামেডানের মিডফিল্ডার শাহেদের বুটজোড়া হাঁটুর ওপরে তুলে মুছে দিলেন স্টানলি আমাদি। ফেডারেশন কাপের এর চেয়ে ভালো অভিষেক আর কীভাবে হতো শাহেদের? প্রথম ম্যাচেই গোল করে রাঙিয়ে নিলেন মুহূর্তটা। ম্যাচের ২৭ মিনিটে ডিফেন্ডার ইকবাল বোবোকনভের ভুলে বল পায় শাহেদ। আস্তে করে প্লেসিংয়ে ১-০ করেন। জয় নিশ্চিত গোলটি করেন সোলেমান ৩০ মিনিটে। বাকি সময়ে চেষ্টা করেও গোল শোধ করতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। মোহামেডানকে হালকাভাবে নিয়েই এভাবে হেরেছে চট্টগ্রাম আবাহনী, কোচ মারুফুল হকের দাবি এমনটাই, ‌‌‘গত ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়েছে ছেলেরা। এরপর আজ রহমতগঞ্জ আবাহনীকে হারিয়েছে। ফুটবলারদের সবাই ধরেই নিয়েছে আমরাই ফাইনালে খেলব। ওদের আত্মবিশ্বাসই ডুবিয়েছে দলকে।’
মোহামেডান কোচ শন লেন উচ্ছ্বসিত, ‌‌‘এই জয়ে আমি খুব খুশি। এই জয়ের কৃতিত্ব দেব সব ফুটবলারের। ক্লাব কর্মকর্তাদের। ছেলেরা সবাই টানা ম্যাচ খেলেও ক্লান্ত নয়। ওদের ফিটনেস নিয়ে আমি বেশি কাজ করেছি। এখন আমার একটাই লক্ষ্য স্বপ্নের ফাইনালে ওঠা।’