ম্যাচের আগে মাকে মোস্তাফিজ বলেন…

ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো
ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন মোস্তাফিজ। ছবি: প্রথম আলো

আজ রংপুর রেঞ্জার্সের ম্যাচ ছিল। কালও ম্যাচ আছে। পরশু সিলেটে গিয়ে পরের দিন আবার ম্যাচ। ‘চার দিনে তিন ম্যাচ, ফিট থাকতে হবে’—সন্ধ্যায় হোটেলের জিমে ফিটনেস নিয়ে কাজ করার ফাঁকে মুঠোফোনে বলছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।


টানা ম্যাচ খেলার ধকলের চেয়ে মোস্তাফিজের এখন চিন্তা ছন্দটা ধরে রাখা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করতে পারছেন না, সমালোচকদের কী বলবেন, নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়ছিলেন বাঁহাতি পেসার। কীভাবে ছন্দ ফিরে পাবেন, ফিজের কপালে চিন্তার ভাঁজ। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব থেকে সেই চিন্তা দূর হতে শুরু করেছে। ধারাবাহিক ভালো করতে শুরু করেছেন। উইকেটশিকার ও ইকোনমিতে এই মুহূর্তে তিনিই দলের সেরা বোলার। ৭ ম্যাচে ৬.৭৮ ইকোনমি ও ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা বোলারদের তালিকায় চলে এসেছেন সেরা দুইয়ে।

মোস্তাফিজ চাইছেন ছন্দটা সামনেও ধরে রেখে হারানো আত্মবিশ্বাস পুরোপুরি ফিরে পাওয়া, ‘এখনই যে সব ঠিক হয়ে গেছে তা নয়, চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ তবে নতুন করে এক সমস্যায় পড়েছেন বাঁহাতি পেসার। এ সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ, ‘গত কিছুদিনে আমার বেশি সমস্যা হচ্ছিল বোলিং রানআপে। আজ রানআপ সবচেয়ে ভালো মিলেছে বলেই বোলিংটা মনের মতো হয়েছে। আগে যে বলটা একটু বাড়তি চেষ্টায় করতে গেছি বা ইয়র্কার মারার চেষ্টা করেছি, পা অনেক বাইরে চলে যাচ্ছিল। চেষ্টা করছি সমস্যাটার সমাধান করতে।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার বছর কাটিয়ে দিলেও আনুষ্ঠানিক কথোপকথনে এখনো সপ্রতিভ নন মোস্তাফিজ। ম্যাচের পর তিনি যে সংবাদ সম্মেলনে আসবেন না, অনুমেয়ই ছিল। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এক-দুই বাক্যে যা বললেন, সেখানে তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, ‘দিনে খেলা হলে আমার জন্য ভালো হয়। এ কারণে আজ আমার ভালো বোলিং হয়েছে।’ রাতে কেন ভালো হয় না—উপস্থাপক শামীম চৌধুরীর প্রশ্নে মোস্তাফিজের ব্যাখ্যা, ‘আমার সেরা অস্ত্র কাটার, দিনে শুকনো উইকেটে যেটা ভালো কার্যকর। রাতে এটা কম হয় (শিশিরের কারণে বল উইকেটে ধরে কম, স্কিড করে বেশি)।’

ভালো-খারাপ খেলার অনেক ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা থাকবে। তবে এর বাইরে আরও একটি যুক্তি আছে মোস্তাফিজের কাছে, যেটি পুরোপুরি অপার্থিব, ‘ম্যাচের দিন টিম বাসে রওনা দেওয়ার আগে একটা কাজ নিয়মিত করি। মাকে ফোন দিয়ে বলি, দোয়া করো। মা বলেন, “দোয়া তো করিই।” তবুও বলি, পারফরম্যান্স যেমন হোক, তুমি দোয়া করে যাবে। মায়ের সঙ্গে কথা বললে আমার ভীষণ ভালো অনুভব হয়।’