বিশ্বকাপ জেতা ভারত দলে বয়স চুরি

বয়স চুরি করে যুব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন এই ওপেনার। ফাইল ছবি
বয়স চুরি করে যুব বিশ্বকাপ খেলেছিলেন এই ওপেনার। ফাইল ছবি

উপমহাদেশে ক্রিকেটারদের বয়স চুরি নতুন কিছু নয়। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা যে কিছুদিন পরপর সর্বকনিষ্ঠের নানা রেকর্ডে হাত বাড়ান, সেটা নিয়েও তাই কানাঘুষার অভাব নেই। শহীদ আফ্রিদিই যেমন ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করার ২৩ বছর পর জানিয়েছেন, ওই সময় তাঁর বয়স ছিল ২১! এসব ক্ষেত্রে ভারতের নামডাক একটু কম। কিন্তু নতুন এক বিতর্ক ভারতের এই ঔজ্জ্বল্যে কালিমা লেপে দিয়েছে। ২০১৮ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দাপট দেখানো ভারত দলের দুই ক্রিকেটার বয়স চুরি করে দলে ঢুকেছিলেন।

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্ব নিয়েই রাহুল দ্রাবিড় নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন কোনো বেশি বয়সী ক্রিকেটার যেন দলে জায়গা না পান। তাই বয়স থাকলেও দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ দেওয়া হয়নি কাউকে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে যেটা এখনো ব্যবহৃত হয়। কিন্তু দ্রাবিড়ের কড়া নজরদারির মধ্যেও দলে ঢুকে পড়েছিলেন মনজত কারলা। এই ওপেনার কাগজে-কলমে বয়স চুরি করে দলে ঢুকে ফাইনালে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিলেন। আইপিএলে টানা দুবার বসে থাকা এই বাঁহাতি ওপেনারের বিরুদ্ধে বয়স চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে অবশেষে। দুই বছরের জন্য সব ধরনের বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাঁকে।

গতকাল এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এখন ঝুঁকিতে আছেন শিভাম মাভিও। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কমলেশ নাগরকোটির সঙ্গে ভয়ংকর এক জুটি গড়েছিলেন এই পেসার। দুজন পেসারই নিয়মিত ১৪০ কিলোমিটারের ওপর গতির বল করে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের মনে ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন। এত কম বয়সী দুজন পেসারের এত গতি চমকে দিয়েছিল সবাইকে। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত ১৮ বছরের মোহাম্মদ মুসা ও ১৬ বছরে নাসিমের বয়সও এ কারণেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি অনেকের।

মাভির ক্ষেত্রে সন্দেহটা সঠিক বলেই প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। জানা গেছে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডে থাকা উত্তর প্রদেশের শিভাম মাভি ও দিল্লির নিতীশ রানার বয়স চুরির ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে দেখছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে আইপিএলে এ দুজনকেই না পেতে পারে কলকাতা। মজার ব্যাপার ২০১৫ সালে বয়স চুরি করার কারণে ২২ জন ক্রিকেটারকে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বিসিসিআইয়ের সে তালিকাতেও ছিলেন নিতীশ রানা। ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানকে এখন আর বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধের শাস্তি দেওয়া সম্ভব নয়, সে ক্ষেত্রে বিসিসিআই কী শাস্তি দেয়, এ নিয়ে কৌতূহল আছে সবার মধ্যে।