ভাগ্যকে সঙ্গী করে সেমিতে বসুন্ধরা

কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে বসুন্ধরা। ছবি: বাফুফে
কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে বসুন্ধরা। ছবি: বাফুফে

শেষ মৌসুমে দুটি ট্রফি জয় করেছিল বসুন্ধরা কিংস। নতুন মৌসুমে মাঠের খেলায় এখনো ছন্দ খুঁজে পায়নি কিংস। গতবারের রানার্সআপের আজ তো ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে নাম লেখাতে ঘাম দিয়ে জ্বর ছোটার অবস্থা। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলের জয়ে শেষ চারে উঠেছে তারা। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ছিল ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিল।

বসুন্ধরার জয়ের নায়ক গোলরক্ষক আনিসুর জিকো। টাইব্রেকারে মুক্তিযোদ্ধার নরিতো হাশহিগুচি ও তরিকুল ইসলামের শট সেভ করেছেন তরুণ এই গোলরক্ষক। মুক্তিযোদ্ধার হয়ে গোল করতে পেরেছেন শুধু দুইয়ে শট নিতে আসা পল এমিল। অন্যদিকে বসুন্ধরার প্রথম চার শটেই যথাক্রমে বখতিয়ার দুশবেকভ, নিকোলাস ডেলমন্তে, আতিকুর রহমান ফাহাদ ও দানিয়েল কলিন্দ্রেসের শট জালে। ফলে শেষ দুইটি শট নেওয়ার সুযোগ পায়নি মুক্তিযোদ্ধা।

ম্যাচটি টাইব্রেকার পর্যন্ত যাওয়ারই কথা ছিল না। ম্যাচের ৩ মিনিটেই জালাল কদুর গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। দানিয়েল কলিনদ্রেসের কাছ থেকে বক্সের মধ্যে বল পান মতিন মিয়া। তাঁর আলতো ক্রসে গোলমুখ থেকে টোকা দিয়ে গোল করেন জালাল কদু। এই গোলেই যেন বসুন্ধরার আক্রমণে পড়ে যায় ফুল স্টপ। ৫৭ মিনিটেই ম্যাচে ফিরে আসতে পারত মুক্তিযোদ্ধা। পল এমিল ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বল পাঠাতে পারেননি জালে। মাঝমাঠ থেকে রক্ষণচেরা এক পাসে বসুন্ধরার রক্ষণভাগকে গতিতে পেছনে ফেলেছিল এমিল। পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে আসা গোলরক্ষক জিকোকেও ঘোল খাওয়ান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাল গোল পাকিয়ে বল মারেন বাইরে।

এটা ছিল বসুন্ধরার কোটি টাকার রক্ষণভাগের জন্য ‘ওয়ার্নিং’, কিন্তু ইয়াসিনরা সতর্ক হলেন আর কোথায়! ৭৫ মিনিটে ইয়াসিন ও বখতিয়ারের মাঝখান থেকে বের হয়ে টোকা দিয়ে গোল করেন মেহেদী হাসান রয়েল। ভাগ্যিস শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন জিকো। আগামী ৩ জানুয়ারি ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ পুলিশ ক্লাব।