গার্দিওলার চোখে সিটিই দশকসেরা

নিজের ক্লাবকেই সবার ওপরে রাখলেন গার্দিওলা। ছবি : এএফপি
নিজের ক্লাবকেই সবার ওপরে রাখলেন গার্দিওলা। ছবি : এএফপি
>

গত এক দশকে ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে আর অন্য কোনো ক্লাব বেশি পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি। এই নিয়ামকের ওপর ভিত্তি করে ফলটার কোচ পেপ গার্দিওলা ঘোষণা দিয়ে দিলেন, দশকের সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিই

গত দুবারই ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন। এবার হয়তো জেতা হবে না। মৌসুমের অর্ধেক যেতে না যেতেই শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে এগারো পয়েন্টে পিছিয়ে আছে সিটি। কিন্তু না জিতলে কী হবে? গত এক দশকে ফুটবলে ম্যানচেস্টার সিটির প্রভাবকে খাটো করে দেখার বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই তাতে। গত এক দশকে ঘরোয়া সাফল্যের দিক দিয়ে ইংলিশ ক্লাবগুলোর মধ্যে ম্যানচেস্টার সিটির ধারেকাছেও কেউ নেই। সে সত্যিটাই নতুন করে সবাইকে জানিয়ে দিলেন পেপ গার্দিওলা, বললেন, সিটিই দশকের সেরা ক্লাব।

গার্দিওলার দাবির পেছনে যুক্তিও আছে বৈকি। গত দশকে ম্যানচেস্টার সিটি ৩৮১ ম্যাচ খেলে পয়েন্ট তুলেছে ৮১৮, ম্যাচপ্রতি ২.১৫ পয়েন্ট করে। তাদের পরেই রয়েছে শহর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাদের পয়েন্ট ৩৮০ ম্যাচে ৭৪৭, ম্যাচপ্রতি পয়েন্ট ১.৯৭। অবশ্য স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন যাওয়ার পর ইউনাইটেড সাধারণ মানের ক্লাবে পরিণত না হয়ে গেলে হয়তো সিটি নয়, এই তালিকার শীর্ষে থাকত ইউনাইটেডই। ম্যানচেস্টার সিটি গত দশকে মোট গোল করেছে ৮৪৫ টি। চেলসি ও লিভারপুলের থেকে সংখ্যাটা ১৩০ গোল বেশি! ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের নিয়ামক হিসেবে এগুলোকেই ধরেছেন গার্দিওলা, 'পয়েন্ট সংগ্রহকে মাপকাঠি ধরা হলে, ম্যান সিটি অবশ্যই গত দশকের সেরা ক্লাব। এটা নিয়ে কোনো সংশয় থাকতে পারে না। শুধু পয়েন্ট নয়, গোল করার দিক থেকেও আমাদের আশপাশে কেউ নেই। আমরা ট্রফিও জিতেছি প্রচুর। ম্যানচেস্টার সিটিকে তাই আমি নিজেই অভিনন্দন জানাচ্ছি।'

তবে গত দশকে ম্যানচেস্টার সিটির সাফল্য শুধু ম্যাচপ্রতি পয়েন্ট অর্জনের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা ট্রফিও জিতেছে যেকোনো ইংলিশ ক্লাবের চেয়ে বেশি। এই দশ বছরে তারা জিতেছে মোট ১০টি ট্রফি, যার মধ্যে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চারটি শিরোপা। আগের দশকগুলোতে ইংলিশ লিগে যারা নিচু সারির দল ছিল, গত এক দশকে তাদের এই অসামান্য উত্থানের পেছনে রহস্য কী?

ক্লাবের এই সাফল্যের পেছনে গার্দিওলা ধন্যবাদ জানিয়েছেন ক্লাবের মালিকপক্ষকে। তাঁর মতে, নতুন মালিকদের জন্যই ম্যান সিটি এখন বিশ্বের যে কোনো জায়গায় একটা সমীহ জাগানিয়া ক্লাব এখন, 'এখানে প্রতিটি দিন বুঝতে পারি, গত দশ বছর ধরে তিল তিল করে কী ভাবে কী হয়েছে। বিশেষ করে আবুধাবির বিশিষ্ট কয়েকজন ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই প্রচুর ভালো ফুটবলার আমরা দলে টানতে পেরেছি। সেই সঙ্গে অসাধারণ কিছু ম্যানেজারও কাজ করেছেন এখানে। ম্যানচেস্টার সিটিতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের প্রত্যেকের এই অভিনন্দনটা প্রাপ্য। ইংল্যান্ডের বিরাট নামকরা সব ক্লাবের সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়েছে তাঁদের। ইংল্যান্ডের প্রত্যেক ক্লাবের অসম্ভব উজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। ভাবতেই অবাক লাগে, এখন আমরাও ইতিহাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।'