জামাল বলছেন, নতুন বছরটা হবে ফুটবলের

নতুন বছরটা ফুটবলের হবে, জামালের প্রত্যয়। ছবি: প্রথম আলো
নতুন বছরটা ফুটবলের হবে, জামালের প্রত্যয়। ছবি: প্রথম আলো
>

২০২০ হবে বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য ব্যস্ত বছর। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ, বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ—জাতীয় দলকে সারা বছরই রাখবে মাঠে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া মনে করেন, নতুন বছর হবে পুরোপুরি ফুটবলের।

গা ঝাড়া দিয়ে ওঠাটা যে খুব জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের জন্য। ফুটবলপ্রিয় জাতিকে ‘দেশের ফুটবল’ নিয়ে হতাশা থেকে দিতে হবে মুক্তি। এমন একটা প্রত্যয় জামাল ভূঁইয়াদের মনে করিয়ে দিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বছর। শুরুতেই জাতীয় দলের জন্য থাকছে ব্যস্ত সূচি।

২০২০ সবার জন্যই বিশেষ বছর। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপিত হবে বছর জুড়ে। বঙ্গবন্ধুতে উপলক্ষ বানিয়েই জানুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট। শ্রীলঙ্কা, লাওস, কম্বোডিয়ার মতো দলগুলো শুরুতেই চ্যালেঞ্জ জানাবে বাংলাদেশকে। এঁদের সঙ্গে উতরে গেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে সবচেয়ে বড় কথা বছরের শুরুতে বঙ্গবন্ধু কাপে ভালো পারফরম্যান্সের রসদ কাজে লাগতে পারে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘ই’র শেষ চার ম্যাচে। এই চার ম্যাচের তিনটিই আবার ঘরের মাঠে।

বঙ্গবন্ধু কাপে কমপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সেমিতে উঠলে তো ম্যাচ আরও একটি বাড়বে। প্রতিপক্ষ বিচারে ফাইনালে খেলাও অসম্ভব কিছু নয় জেমি ডে’র দলের। তাতে বছরের শুরুতে চারটিসহ জুন পর্যন্ত মোট আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ থাকছে বাংলাদেশের জন্য। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অগ্নিপরীক্ষা মার্চে—আফগানিস্তান ও কাতারের বিপক্ষে। এর মধ্যে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিপক্ষে খেলাটা দোহায়। জুনে ভারত ও ওমানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ম্যাচ। প্রথম লেগের পারফরম্যান্সের বিচারে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে পয়েন্ট তুলে নেওয়াই লক্ষ্য বাংলাদেশের। কলকাতায় ভারতকে তো গত অক্টোবরে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল জাতীয় দল। ৮৭ মিনিটে গোল করে ড্র করে ভারত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুশানবের নিরপেক্ষ ভেন্যুতে ১-০ গোলে হারলেও ঘরের মাঠে বাংলাদেশ যে জোর লড়াই করবে, এটা বলাই যায়। বছরের শেষ দিকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের নিজেদের ভাগ্য বদলের মিশনটা তো থাকছেই।

২০২০ সালের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডেও, ‘আমি নতুন বছরটির দিকে তাকিয়ে আছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ দিয়ে শুরু হবে প্রতীক্ষিত বছর। এর পরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তার পরে আছে সাফ ফুটবল। ব্যস্ত একটি বছর যাবে। দল নিয়ে অনেক স্বপ্ন। অভিজ্ঞতা অর্জনের সঙ্গে র‌্যাঙ্কিংয়ের উন্নতির দিকেই আমার চোখ।’

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও ২০২০ নিয়ে রোমাঞ্চিত। তিনি নতুন বছরে ফেসবুকে দেওয়া এক বার্তায় সবাইকে মাঠে খেলা দেখতে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন, ‘সবার কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে যে আপনারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন যাতে ঘরের মাঠে হওয়া সবগুলো ম্যাচ মাঠে বসে দেখতে পারেন। আমাদের ফুটবলের জন্য ২০১৯ সালটা খুবই প্রতিশ্রুতিশীল ছিল। মাঠের খেলায় আমরা ইতিবাচক খেলেছি এবং বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচগুলোতে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছি। নতুন বছরে বাছাইপর্বে ঘরের মাঠের ম্যাচগুলোর জন্য আমি অপেক্ষায় আছি। এ ছাড়া দুই সপ্তাহ পরই শুরু হতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপ। মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। সব মিলিয়ে আমি ২০২০ সাল নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। কারণ আমি বিশ্বাস করি ২০২০ সালটা হবে বাংলাদেশ ফুটবলের বছর।’