মোহামেডানের সামনে ১০ বছর পর ফাইনালের হাতছানি

>

ফেডারেশন কাপে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেড ও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৪টায়।

২০০৯ সালের পর ক্যালেন্ডার বদলেছে ১০ বার। ফেডারেশন কাপের ফাইনাল হয়েছে ৮টি। কিন্তু ছিল না ঐতিহ্যবাহী মোহামেডানের নাম। দীর্ঘ ১০ বছর পর আজ আবার সেই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার সুযোগ সাদা–কালোদের। সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জ। আবাহনীকে বিদায় করে সেমিফাইনালে নাম লেখালেও আগে কখনো ফাইনাল খেলা হয়নি দলটির। এবার মোহামেডান ১০ বছরের শিকল ভাঙবে, না রহমতগঞ্জ গড়বে নতুন ইতিহাস?

একসময় মোহামেডানের কাছে ফাইনাল খেলা বা শিরোপা জেতা ছিল ডালভাত। সেই গল্প এখন ঠাকুরমার ঝুলির মতো শোনায়। তবে আভিজাত্য ফিরে না এলেও সাদা–কালোদের পারফরম্যান্সে এবার উন্নতি এসেছে। অস্ট্রেলিয়ান কোচ শন লেনের অধীনে একঝাঁক তরুণ নিয়ে দলটি মৌসুমটি শুরু করেছে দুর্দান্ত। নিচ থেকে খেলা তৈরি করে মাঝমাঠে পাসের পর পাস, আক্রমণভাগেও বৈচিত্র্য। কখনো উইং প্লে, কখনো মাঝখান দিয়ে বিপজ্জনক পাস । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিপক্ষকে হাই প্রেসিংয়ে ভেঙে ফেলার চেষ্টা। এই রসায়নেই চার বছর পর ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে মোহামেডান।

রহমতগঞ্জের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি ছড়াতে পারে রোমাঞ্চ। ঐতিহ্য ও পরিসংখ্যান বাদ দিলে খেলার ধরন ও শক্তিতে দুই দলই প্রায় একই রকম। খেলোয়াড়েরা উনিশ-বিশ। মোহামেডানের মতো রহমতগঞ্জের মূল শক্তি দলীয় সংহতি। শেখ জামাল আর সাইফের সঙ্গে দুটি ড্র তাদের নিয়ে আসে শেষ আটে। সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে জয়। আবাহনীকে হারানোর পর এবার কি মোহামেডানের পালা? রহমতগঞ্জ কোচ গোলাম জিলানী বলছিলেন, ‘আমাদের হারানোর কিছু নেই। কিন্তু পাওয়ার আছে। অবশ্যই আমরা চেষ্টা করব ফাইনালে খেলতে। সুযোগের ব্যবহার করতে হবে। মোহামেডান তরুণ দল। তারা উজ্জীবিত।’

রহমতগঞ্জকে শক্তিশালী মানছেন মোহামেডান কোচ। চোখ ফাইনালে রেখেও বাস্তবে পা রাখছেন শন লেন, ‘রহমতগঞ্জ শক্তিশালী এবং দলটিকে হারানো কঠিন। আমাদের মতো তারাও সমান ফেভারিট। ফাইনালে যেতে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। নইলে রহমতগঞ্জও জিততে পারে।’

বদলে যাওয়া মোহামেডানের সঙ্গে এবার ভাগ্যও তাদের পক্ষে। কোয়ার্টার ফাইনালে আসতে পেরেছে ‘হলুদ কার্ড’ ভাগ্যে। মোহামেডান-শেখ রাসেল দুদলের পয়েন্ট ও গোলগড় ছিল সমান, মুখোমুখি লড়াইয়ে ড্র। হলুদ কার্ড কম দেখায় শেষ আটে চলে আসে মোহামেডান।