এক বছর ধরে লিগে কেউ হারাতে পারছে না লিভারপুলকে

শেফিল্ড ইউনাইটেডকে হারিয়েছে লিভারপুল। ছবি : এএফপি
শেফিল্ড ইউনাইটেডকে হারিয়েছে লিভারপুল। ছবি : এএফপি
>

গত রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে লিভারপুল। গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ ও সাদিও মানে

গত বছর এই জানুয়ারির তিন তারিখেরই কথা। লিগে সার্জিও আগুয়েরো আর লিরয় সানের গোলে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল লিভারপুল।

এর পর কত কিছু হয়ে গেল। ওই এক ম্যাচের জের ধরে এক পয়েন্টের জন্য সিটির কাছেই লিগ হারাল লিভারপুল। পরে জিতল চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ। ক্লাব বিশ্বকাপও এল। এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগেও দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল তারা। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে একটা জিনিসের কখনই পরিবর্তন হয়নি। গত এক বছরে লিগে লিভারপুলকে কেউ হারাতে পারেনি। গত রাতে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে লিগে ২-০ গোলে হারানোর মাধ্যমে লিভারপুল নিশ্চিত করেছে এই দুর্দান্ত অর্জন।

ম্যাচের শুরু থেকেই আধিপত্য দেখিয়ে খেলা শুরু করে লিভারপুল। লেফটব্যাক অ্যান্ডি রবার্টসনের দুর্দান্ত এক পাস ধরে শেফিল্ডের গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসনকে বোকা বানান তিনি। এর মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগে এই নিয়ে ২৫ টা দলের বিপক্ষে খেলে ২২ টা দলের বিপক্ষেই গোল করা হয়ে গেলে সালাহর। প্রথমার্ধে আরও বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করতে পারলেও গোল করা হয়ে ওঠেনি লিভারপুলের।

৬৪ মিনিটে দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন সাদিও মানে। ২-০ গোলের জয় নিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিভারপুল। এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে সর্বশেষ ৯৮৫ দিন পরাজয়ের মুখ দেখল না দলটা। ২০০৭ সালের পর এই প্রথম লিগে টানা পাঁচ ম্যাচ গোল না খেয়ে কাটাল তারা। কে বলবে, এই দলে দুজন সেন্টারব্যাক দেয়ান লভরেন ও জল মাতিপ চোটে আক্রান্ত? গত রাতে সব মিলিয়ে ৮৭৩ পাস আদান প্রদান করেছেন লিভারপুলের খেলোয়াড়েরা। লিভারপুলের চার ডিফেন্ডার - ট্রেন্ট অ্যালেক্সান্ডার আরনল্ড (১১১), অ্যান্ডি রবার্টসন (১১৩), জ্যো গোমেজ (১২০), ভার্জিল ফন ডাইক (১৩৫) আর একজন রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার জর্ডান হেন্ডারসন (১২১) মিলেই সফল পাস দিয়েছেন পাঁচ শতাধিক। ওদিকে শেফিল্ডের কোনো খেলোয়াড় ৩২টার বেশি সফল পাস দিতেই পারেননি। বোঝাই যায়, গত রাতে লিভারপুল কেমন দুর্দান্ত ছিল!

এই জয় নিয়ে ২০ ম্যাচ খেলে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল লিভারপুল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লেস্টার সিটি। ম্যানচেস্টার সিটি আছে আরও এক পয়েন্ট পেছনে, তারাও লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলেছে।