ফিট না হলে ক্রিকেটারদের বেতন কাটবে পাকিস্তান

পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ছবি: বাবর আজমের টুইটার
পাকিস্তান দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ছবি: বাবর আজমের টুইটার

চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের ফিটনেসের ব্যাপারে কঠোর হচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ সব খেলোয়াড়ের ফিটনেস পরীক্ষা নেবে বোর্ড। সে পরীক্ষায় পাশ না করতে পারলেই বেতন থেকে অর্থ কেটে রাখা হবে! আজ পিসিবির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বোর্ডের চুক্তিবদ্ধ ১৯ খেলোয়াড়কেই পূর্ব নির্ধারিত ফিটনেস টেস্ট দিতে হবে। আপাতত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ওয়াহাব রিয়াজ, মোহাম্মদ আমির ও শাদাব খানকে এ পরীক্ষা দিতে হচ্ছে না। এ তিনজনের ফিটনেস পরীক্ষা হবে ২০ ও ২১ জানুয়ারি।

পাকিস্তান জাতীয় দলের কন্ডিশনিং কোচ ইয়াসির মালিকের অধীনে স্থূলতা, শক্তি, দীর্ঘস্থায়িত্ব, গতির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও ক্রস ফিট-এর পরীক্ষা দেবেন পাকিস্তানের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়েরা। প্রতিটি পরীক্ষাতেই ন্যূনতম পাশ পার্ক পেতে হবে তাঁদের। কেউ ব্যর্থ হলেই তাঁর মাসিক বেতনের থেকে ১৫ শতাংশ কেটে রাখা হবে এবং যত দিন পর্যন্ত ফিটনেসে সন্তোষজনক ফল আনতে পারবেন না এ জরিমানা চলতেই থাকবে। আর ফিটনেস টেস্টে টানা ব্যর্থ হলে খেলোয়াড়দের বর্তমান ক্যাটাগরি থেকে নিচু স্তরে পাঠিয়ে দেওয়ারও শাস্তি দেওয়া হবে। অর্থাৎ বাবর আজম যদি ফিটনেস টেস্টে বারবার ব্যর্থ হন, তবে ক্যাটাগরি ‘এ’ থেকে তাঁকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে দেবে পিসিবি।

এ ব্যাপারে পিসিবির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বিভাগের পরিচালক জাকির খান বলেছেন, খেলোয়াড়দের ফিটনেসে নজর রাখার ব্যাপারে সব সময়ই জোর দেওয়া হয়েছে। এবার আমরা শাস্তির বিষয়টিও রেখেছি, যেটা খেলোয়াড়দের চুক্তিতেই বলা ছিল। আমরা চাই খেলোয়াড়েরা বছর জুড়েই ফিটনেসের ব্যাপারে সচেতন থাকুক, এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল হোক। একজন পেশাদার অ্যাথলেটের জন্য ফিটনেস সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। সব খেলোয়াড়কেই তাদের কাছে পিসিবির চাওয়া এবং এতে ব্যর্থ হলে কী হতে পারে সেটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পিসিবি জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়দের দিয়ে শুরু হলেও ধীরে ধীরে এটা ঘরোয়া ক্রিকেটেও চালু করবে তারা।