আসিফের ৩৯কে হারাতে পারল না মুশফিকের ৬৪

মুশফিকের  ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি খুলনার জয়ের জন্য। ছবি: প্রথম আলো
মুশফিকের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি খুলনার জয়ের জন্য। ছবি: প্রথম আলো


বিপিএলে অদ্ভুত এক ম্যাচই দেখা গেল আজ। দারুণ ব্যাটিং উইকেটেও টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাট করতে দেখা যাচ্ছিল না কাউকে। দুই দলের মাত্র দুজনই খেলার মেজাজ বুঝে দর্শককে আনন্দ দিতে পেরেছেন। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে আসিফ আলীর পর খুলনা টাইগার্সের মুশফিকই শুধু আনন্দ দিতে পেরেছেন আজ। কিন্তু রানে মুশফিক আসিফকে টপকালেও জয় পেয়েছে আসিফের দলই। খুলনাকে ১২ রানে হারিয়েছে ঢাকা। এ জয়ে খুলনাকে চারে পাঠিয়ে শীর্ষে চলে এসেছে ঢাকা।

প্রথমে ব্যাট করতে নামা ঢাকার শুরুটা ছিল আশাজাগানিয়া। বহুদিন পর আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা দেখা গিয়েছিল তামিম ইকবালের মাঝে। অন্যদিকে এনামুল হকও ভালোই করছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মাঝেই গুটিয়ে গিয়েছেন দুজন। ১৩ বলে ১৫ রান করেছেন এনামুল। তামিমও ফিরেছেন ২৩ বলে ২৫ রান করে। মুমিনুল হক (৩৬ বলে ৩৮) বা আরিফুল হকের ব্যাটেও টি-টোয়েন্টির তেজ ছিল না। শেষে আসিফ আলীর ১৩ বলের ৩৯ রানের ঝড়ে ১৭২ রানের লড়াই করার মতো স্কোর পেয়েছে ঢাকা।

খুলনার শুরুটা ভালো হয়নি। আমিনুল ইসলাম বা মেহেদী হাসান মিরাজ কেউই টেকেননি বেশিক্ষণ। রাইলি রুশোও (১৮) থাকেননি আজ। সব দায়িত্ব এসে পড়ে মুশফিকুর রহিমের ওপর। ৩ চার ও ২ ছক্কা মেরে নজিবউল্লাহ জাদরান কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর ৩১ রানের ইনিংস খেলতেই ২৯ বল খেলে ফেলায় চাপ বেড়েছে মুশফিকের ওপর। মাত্র ২৭ বলে পঞ্চাশ পাওয়া মুশফিক চেষ্টা করেও সে চাপ থেকে বের হতে পারেননি।
শেষ ৩ ওভারে ৪৮ রান দরকার ছিল খুলনার। শেষ ২ ওভারে সেটা ৩৬-এ নামে। হাসান মাহমুদের প্রথম তিন বলে এক চার ও এক ছক্কায় ১২ রান তুলে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু দারুণভাবে ফিরে এসেছে হাসান। পরের বলেই ডট দিয়েছেন, আর পঞ্চম বলে তুলে নিয়েছেন মুশফিকের উইকেট। ৩৩ বলে ৬৪ রান করে ফিরেছেন মুশফিক। ৮ উইকেটে ১৬০ রানেই থামতে হয়েছে খুলনাকে। ৩২ রান ৪ উইকেট পেয়েছেন হাসান।