বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হতে পারত ওসাকার

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ওসাকা। ছবি: এএফপি
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ওসাকা। ছবি: এএফপি

‘ছুটি কাটাতে গিয়ে টেনিস তারকার মৃত্যু’—আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে এমন একটা শিরোনাম হতে পারত। শোকার্ত হয়ে পড়ত টেনিস বিশ্ব। চার দিকে শোনা যেত একটা দীর্ঘশ্বাস—কলি কেবল ফুল হয়ে ফুটেছে, কিন্তু পূর্ণতা পাওয়ার আগেই এমন করুণ চিরপ্রস্থান!

এমনটা না হওয়ার জন্য ঈশ্বরকে একটা ধন্যবাদ জানাতেই পারেন নাওমি ওসাকা। একটু এদিক-ওদিক হলেই যে মারা যেতেন ২০১৮ ইউএস ও ২০১৯ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নারী চ্যাম্পিয়ন!

গত বছরের শেষের দিকের ঘটনা। অক্টোবর-নভেম্বরের ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে নাম লিখিয়েছিলে ওসাকা। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু করেও শেষ করতে পারেননি। প্রথম ম্যাচ খেলার পরই কাঁধের চোটের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। চোট ছুটিটাকে লম্বা করে দেওয়ায় বড় বোন মারিকে নিয়ে ক্যারিবিয়ানে গিয়েছিলেন ২২ বছর বয়সী ওসাকা। টার্কস অ্যান্ড কেইকোস দ্বীপ পরিদর্শনের সময় প্যাডলবোটে উঠেছিলেন। সেসময়ই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যেতে বসেছিলেন।

এই ঘটনা নিয়ে সেসময় অবশ্য কোনো খবর হয়নি। হবে কী করে? মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতাটা যে এই প্রথম জানালেন ওসাকা। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে টেনিস টুর্নামেন্ট ব্রিসবেন ইন্টারন্যাশনাল। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রস্তুতিমূলক এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ওসাকা জানিয়েছেন মৃত্যুর কাছাকাছি হওয়ার অভিজ্ঞতা, ‘আমরা বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়েছিলাম এবং আমি প্রায় মারা যেতে বসেছিলাম।’

টার্কস ও কেইকোস আইল্যান্ডে অবস্থানকালে একদিন প্যাডলবোট নিয়ে সাগরে নেমেছিলেন ওসাকা। সঙ্গে ছিলেন বড় বোন মারি। সেটা ছিল সুন্দর একটা দিন। ওসাকার ভাষায়, ‘প্যাডল বোটে চড়ে আমরা একটু দূরে চলে গিয়েছিলাম। সবকিছু ঠিক ছিল। দিনটাও ছিল খুব সুন্দর। আমি স্টার ফিশও দেখেছিলাম।’ কিন্তু এরপরই ঘটে ভয়ংকর ঘটনা। ‘হঠাৎ করেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হই আমরা। আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ তখন আমরা বেশি দূরে চলে গিয়েছিলাম।’ এই আতঙ্কের ফলেই কিনা নৌকা থেকে পানিতে পড়ে যান ভালো ওসাকা। ভাগ্য ভালো, ভালো সাঁতার না জানলেও আবার নৌকায় ফিরে আসতে পেরেছেন ওসাকা। বেঁচে যান বড় রকমেরে দুর্ঘটনার হাত থেকে।