শেষ রক্ষা হলো না দক্ষিণ আফ্রিকার
কেপটাউন টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ে ৪ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-১ সমতা। সিরিজের তৃতীয় টেস্ট পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হবে ১৬ জানুয়ারি।
টেস্ট ক্রিকেটের সব রোমাঞ্চ নিয়ে আজ হাজির হয়েছিল আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম দিনটা। ১৮৯ রানে জিতেছে ইংল্যান্ড। কিন্তু স্কোর বোর্ড দেখে বোঝার উপায় নেই ম্যাচের রোমাঞ্চ।
ম্যাচ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকাকে চতুর্থ ইনিংসে করতে হতো বিশ্ব রেকর্ড ৪৩৮ রান, আর ম্যাচ বাঁচাতে ব্যাট করতে হতো ১৪৬ ওভার। পরশু ৫৬ ওভারে ২ উইকেটে ১২৬ রান তুলে দিন শেষ করা প্রোটিয়ারা দেখিয়েছিল তারা দ্বিতীয় পথেই হাঁটতে চায়। আজ শেষ দিনে সেই পথেই হাঁটছিল দলটি। উইকেটে খুঁটি গেড়ে বসে ম্যাচ বাঁচাতেই আগ্রহী দলটি দিনের প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ১ উইকেটে তুলল মাত্র ৪৬ রান। পরের সেশনে ৩২ ওভারে উইকেট একটি বেশি খোয়ালেও রান উঠল মাত্র ৫৫।
৫ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে চা-বিরতিতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা কি পারবে শেষ সেশনটাও কাটিয়ে দিতে? প্রশ্নটার ইতিবাচক উত্তর দিতে তখনো উইকেটে ছিলেন দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক ও রেসি ফন ডার ডুসেন।
তৃতীয় সেশনের পঞ্চম ওভারেই লেগ স্পিনার জো ডেনলির করা ভাসিয়ে দেওয়া ‘নিরীহ’ বলটিই মারণাস্ত্র হলো। ৫০ রান করা ডি কক শর্ট মিড উইকেটে দাঁড়ানো জ্যাক ক্রলিকে শুধু ক্যাচিং অনুশীলনই করালেন। স্বাগতিকদের স্কোর তখন ৬ উইকেটে ২৩৭। প্রোটিয়ারা এরপর পুরোই খোলসে ঢুকে যায়। ৩১ বল পর যখন ফন ডার ডুসেন স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে লেগ স্লিপে জেমস অ্যান্ডারসনকে ক্যাচ দিলেন সেই ২৩৭-ই দাঁড়িয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এরপর ভারনন ফিল্যান্ডার ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস প্রায় ৮ ওভার ঠেকিয়ে গেলেন। জুটি ভাঙতে ইংল্যান্ডকে শরণ নিতে হলো বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বেন স্টোকসকে। ১৩৪ তম ওভারে পরপর দুই বলে প্রিটোরিয়াস ও আনরাইখ নর্টিয়েকে স্লিপে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন স্টোকস। ডান হাত দিয়ে ঠেকিয়ে বাঁ হাতে নর্টিয়ের ক্যাচটি নিয়েছেন ক্রলি। হ্যাটট্রিক পাননি স্টোকস। তবে চার ওভার পর খুঁটি গেড়ে বসা ফিল্যান্ডারকে গালিতে অলি পোপের ক্যাচ বানিয়ে স্টোকস যখন দলকে জেতালেন তখনো ৯ ওভার বাকি ছিল দিনের খেলার।