বিগ ব্যাশে এক দিনে আফগান-পাকিস্তান হ্যাটট্রিক

রশিদ খান ও হারিস রউফ। ছবি: বিগ ব্যাশ টুইটার পেজ
রশিদ খান ও হারিস রউফ। ছবি: বিগ ব্যাশ টুইটার পেজ

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এজ’-এর সংবাদকর্মী ড্যানিয়েল চার্নির টুইট, ‘দেশের অন্যতম বিখ্যাত দুটি স্টেডিয়াম জেগেছে এক আফগান ও পাকিস্তানির সৌজন্যে।’

বিগ ব্যাশে আজ দুটি ম্যাচ ছিল। অ্যাডিলেড ওভালে দিনের প্রথম ম্যাচটি ছিল অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স ও সিডনি সিক্সার্সের মধ্যে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) পরের ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিডনি থান্ডার ও মেলবোর্ন স্টারস। দর্শকেরা দুটি ম্যাচেই দেখেছেন হ্যাটট্রিক। প্রথম ম্যাচে তা করেছেন অ্যাডিলেডের আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খান। পরের ম্যাচে মেলবোর্ন স্টারসের পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা দুই ম্যাচে দুটি হ্যাটট্রিকের জন্ম দিলেন এশিয়ার দুই বোলার।

ইনিংসের ১০ম ওভারের শেষ দুই বল এবং ১২তম ওভারের প্রথম বলে টানা তিন উইকেট নেন রশিদ। সিডনির জেমস ভিন্স ও জ্যাক এডয়ার্ডসকে তুলে নেওয়ার পর জর্ডান সিল্ককেও আউট করেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি রশিদের তৃতীয় হ্যাটট্রিক। তাঁর দল অ্যাডিলেড অবশ্য ম্যাচটা জিততে পারেনি। শেষ দুই ওভারে ১২ রানের দূরত্বে পিছিয়ে থাকতে পিটার সিডলের টানা তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি মারেন সিডনির ‘বার্থডে বয়’ জস হ্যাজলউড।

পরের ম্যাচে হ্যাটট্রিক হয়েছে সিডনি থান্ডারের ইনিংসে শেষ ওভারে। ওভারটির দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে উইকেট নেন রউফ। মাত্র ৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এ পেসার মেলবোর্নের হয়ে বিগব্যাশে অভিষেকের আগেও অচেনা ছিলেন তাঁর সতীর্থদের কাছে। চার্নির টুইট, ‘তিন সপ্তাহ আগেও হারিস রউফের নাম জানত না কোনো অস্ট্রেলিয়ান।’বিগ ব্যাশে কোনো পাকিস্তানির এটাই প্রথম হ্যাটট্রিক। আজ তাঁর একটি ডেলিভারি ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতি তুলেছিল।