মুশফিককে 'কখনোই খুব আবেগতাড়িত দেখবেন না'

২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনালে হারের পর সাকিবকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন মুশফিক। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে কষ্টের ছবিগুলোর একটি। ছবি: প্রথম আলো
২০১২ এশিয়া কাপ ফাইনালে হারের পর সাকিবকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন মুশফিক। বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে কষ্টের ছবিগুলোর একটি। ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচ হেরে গেলে কিংবা ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলে অনেক সময় অঝোরে কাঁদেন। হতাশায় এতটাই নুয়ে পড়েন, নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নেন। ক্রিকেট বোর্ড কিংবা দলে কোনো অসংগতি দেখলে অকপটে বলে ফেলেন। মাঠে সতীর্থদের ভুল হলে রাগ করেন প্রকাশ্যেই—মুশফিকুর রহিমের আবেগের সঙ্গে ভালোই পরিচয় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের।

চাপমুক্ত ব্যাটিংয় করার লক্ষ্যে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক সময় অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন মুশফিক। বিপিএলেও একাধিকবার অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। তবে এবার বিপিএল একটু অন্য রকম দেখা যাচ্ছে অধিনায়ক মুশফিককে। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা তো আছেই, দলকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন দারুণভাবে। তাঁর দল খুলনা টাইগার্সের শেষ চার যদিও এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চারে থাকা খুলনার ভালো সম্ভাবনাই আছে কোয়ালিফায়ার খেলার।

অধিনায়ক মুশফিককে আজ প্রশংসায় ভাসালেন কুমিল্লার বিপক্ষে খুলনার নায়ক রবি ফ্রাইলিঙ্ক, ‘গত বছরও মুশির সঙ্গে চিটাগং ভাইকিংসে খেলেছিলাম। তার ধরন খুব ভালো জানি। খেলাটা নিয়ে তার খুব ভালো জ্ঞান, প্রতিপক্ষ নিয়ে তার কৌশল খুবই ভালো। টিম মিটিংয়ে সে অনেক তথ্য দেয়। মাঠের পরিস্থিতি সে অনেক ঠান্ডা রাখতে পারে। কখনোই দেখবেন না, সে খুব আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছে। তার অধীনে খেলাটা আমার জন্য ভীষণ তৃপ্তিদায়ক ব্যাপার।’

কুমিল্লার বিপক্ষে ১৬ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন রবি, যেটি টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ৫ উইকেট পাওয়ার আনন্দের চেয়ে খুলনার প্রোটিয়া অলরাউন্ডার বেশি খুশি দলে ভালো অবদান রাখতে পেরে, ‘এটা সত্যি কঠিন, টি-টোয়েন্টিতে ভালো বোলিং করা সত্যি কঠিন। সেদিন আমি ভীষণ মার খেয়েছিলাম। পাঁচ উইকেট নেওয়া হচ্ছে ভালো চেষ্টার ফল। তবে আমি বেশি খুশি যে দলে অবদান রাখতে পেরেছি।’