নাশপাতির জুস বানাচ্ছে নেইমার-এমবাপ্পেদের ক্লাব

এ বাগানের ফল থেকেই জুস বানাচ্ছে পিএসজি। ছবি: পিএসজি ওয়েবসাইট
এ বাগানের ফল থেকেই জুস বানাচ্ছে পিএসজি। ছবি: পিএসজি ওয়েবসাইট

গতকাল রাতে কোপ দে লা লিগ বা ফ্রেঞ্চ লিগ কাপে ঝড় তুলেছিল পিএসজি। সেঁত এতিয়েনকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ফ্রেঞ্চ চ্যাম্পিয়নরা। মাউরো ইকার্দির হ্যাটট্রিকের সঙ্গে একটি করে গোল করেছেন নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেও। সে আনন্দের মাঝেই আরেকটি খবর ঘটা করে জানিয়েছে পিএসজি। আর সেটা হলো বাজারে ছাড়া হয়েছে পিএসজির অনুশীলন কেন্দ্রে প্রস্তুতকৃত পিয়ার (নাশপাতির) জুস!

আজ কিছুক্ষণ আগে এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নিজেদের জুসের কথা জানালেও পিএসজির জুস কিন্তু আগেই পান করার সুযোগ পেয়েছে তাদের দর্শকেরা। গত ৪ ডিসেম্বর পার্ক দে প্রিন্সেসে নঁতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলতে নেমেছিল পিএসজি। সে ম্যাচেই প্রথমবারের মতো এ জুস দেওয়া হয়েছিল অতিথিদের। ক্লাব জানিয়েছে, মৌসুমের বাকি সময়ে স্টেডিয়ামে দর্শকদের এ জুস খাওয়ার ব্যবস্থা করবে ক্লাব। এ ছাড়া ভবিষ্যতে প্যারিসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্লাবে এক হাজার বোতল জুস পাঠানোর পরিকল্পনা করছে ক্লাব।

নিজেদের আবহাওয়া সচেতন প্রমাণ করতে চায় পিএসজি। এ কারণে অনুশীলন কেন্দ্র বানানোর জন্য ফেলে রাখা জায়গার মাঝে ২.৫ হেক্টর জায়গা বেছে নিয়ে দুটি ফলের বাগান বানিয়েছে পিএসজি। সাতটি ভিন্ন জাতের দুই হাজার আট শ নাশপাতি গাছ লাগিয়েছে তারা। ২০১৯ সালে এর মাঝে পাঁচ জাতের প্রায় ১৮ টন নাশপাতি উৎপাদিত হয়েছে ক্লাবের বাগানে। সে ফল থেকেই জুস বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কাতারের মালিকানাধীন এই ক্লাব। স্থানীয় স্কুল ও ব্যবসায়ীদের এই কাজের অংশ বানিয়েছিল পিএসজি। এ বছর আরও বেশি ফলন পাওয়ার আশা করছে পিএসজি।

এই বাগানের পাশেই নিজেদের একাডেমির অনুশীলন কেন্দ্রে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে পিএসজি। ২০২২ সাল নাগাদ কেন্দ্র চালু করার আশা করছে তারা।