চ্যাম্পিয়নস লিগ না পেয়েও লিভারপুলের চেয়ে বেশি পেল বার্সেলোনা

লিভারপুলের কাছে হেরে গেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের আয়ে তাদের টপকে গেছে বার্সেলোনা। রয়টার্স ফাইল ছবি
লিভারপুলের কাছে হেরে গেলেও চ্যাম্পিয়নস লিগের আয়ে তাদের টপকে গেছে বার্সেলোনা। রয়টার্স ফাইল ছবি
>চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে লিভারপুলের আয় ১১১ মিলিয়ন ইউরো, বার্সেলোনা পেয়েছে ১১৭ মিলিয়ন

এক যুগ পর চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে লিভারপুল। দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবলে মন জয় করা দলটিকেই বর্তমানে ইউরোপের সেরা মেনে নেওয়া হচ্ছে। বার্সেলোনার মাঠে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর দুই মূল খেলোয়াড় ছাড়াই যে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে লিভারপুল, সেটা দাগ কেটেছে সবার মনেই। মজার ব্যাপার, চ্যাম্পিয়ন হয়েও একটি ব্যাপারে বার্সেলোনাকে টপকাতে পারেনি লিভারপুল। গত মৌসুমে উয়েফার এ টুর্নামেন্ট থেকে বার্সেলোনাই সবচেয়ে বেশি আয় করেছে।

২০১৮-১৯ চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে কোন দল কত আয় করেছে সেটা জানানো হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া বার্সেলোনা আয় করেছে ১১৭ মিলিয়ন ইউরো। আর চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল পেয়েছে ১১১ মিলিয়ন ইউরো। আয়ের দিক থেকে তৃতীয় হয়েছে ফাইনালে ওঠা টটেনহাম হটস্পার। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে পৌঁছানো এই ইংলিশ ক্লাবের আয় ১০১ মিলিয়ন।

চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে আয়ের বিভিন্ন উপায় রয়েছে। গ্রুপ পর্বে অংশ গ্রহণ করার জন্য নির্দিষ্ট একটি অর্থ পায় ক্লাবগুলো। প্রতিটি ম্যাচে জয়, হার ও পরাজয়ের ওপর নির্ভর করে আরও কিছু অর্থ যোগ হয়। আর গ্রুপ পর্ব পার হতে পারলে প্রতিটি পর্বের জন্য বাড়তি অর্থ যোগ হয়। এভাবে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হওয়া দলের ভাগেই সবচেয়ে বেশি অর্থ জোটে। কিন্তু উয়েফা ক্লাবগুলোকে আরও কিছু ব্যাপারে অর্থ দেয়। সেগুলো হলো টিভি সত্ত্ব (টিভিতে যাদের খেলার প্রতি আগ্রহ বেশি থাকে), ঐতিহাসিক অর্জন (সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে ক্লাবের অর্জন) ও দেশের অবস্থান (চ্যাম্পিয়নস লিগের ওই মৌসুমে নির্দিষ্ট একটি দেশের অন্য ক্লাবের অবস্থা)।

এসব মিলিয়েই বার্সেলোনা লিভারপুলের চেয়ে এগিয়ে গেছে। যেমন ঐতিহাসিক অর্জনের দিক থেকে বার্সেলোনা ৩৪ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে, যেখানে লিভারপুল পেয়েছে ২৩ মিলিয়ন ইউরো। কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগে আগের মৌসুমে ফাইনালে উঠলেও নিকট অতীতে ভালো করেনি লিভারপুল।অন্যদিকে বার্সেলোনা ২০১৫ সালে বিজয়ী হওয়ার পর প্রতিবারই অন্তত কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। এ ছাড়া এবার ইংলিশ চারটি ক্লাব কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল। আর রিয়াল মাদ্রিদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ শেষ ষোলোতেই ছিটকে যাওয়া বার্সেলোনার পক্ষে এসেছে।

ইতালির অন্য দলগুলোর ব্যর্থতাই জুভেন্টাসের আয় বাড়িয়ে দিয়েছে। ৯৫ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ম্যানচেস্টার সিটি আছে সাম্যবস্থায় (৯৩ মিলিয়ন)। শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়া রিয়াল মাদ্রিদের আয় কমেছে বেশ (৮৫ মিলিয়ন)। একই পর্যায়ে ছিটকে পড়া অ্যাটলেটিকো ও পিএসজির আয়ও তাই। বায়ার্ন মিউনিখের আয় এদের চেয়েও কম (৮২)। টিভি-স্বত্বই জার্মান চ্যাম্পিয়নদের আয় কম হওয়ার পেছনে অবদান রেখেছে। আর এ কারণেই সেমিফাইনালে উঠেও আয়ের দিকে থেকে ১২তম আয়াক্স। ডাচ ক্লাবটি অসাধারণ এক মৌসুম উপহার দিয়েও পেয়েছে মাত্র ৭৮ মিলিয়ন ইউরো।