কুমিল্লাকে বিদায় দিয়ে নিশ্চিত হলো খুলনা

জুটির সঙ্গীকে পরামর্শ দিচ্ছেন মুশফিক। ছবি: প্রথম আলো
জুটির সঙ্গীকে পরামর্শ দিচ্ছেন মুশফিক। ছবি: প্রথম আলো

আগামীকাল মাঠের খেলার চেয়ে ক্যালকুলেটরেই মনোযোগ থাকবে বেশি। দিনের প্রথম খেলায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স হেরে গেলেই দ্বিতীয় ম্যাচের দিকে চেয়ে থাকতে হবে চার দলকে। কারণ, তখন ১৬ পয়েন্ট পাওয়া দলের সংখ্যা হবে তিনটি। আর প্রথম কোয়ালিফায়ারে জায়গা পাবে মাত্র দুটি। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে ৯২ রানে হারিয়ে বেশ মজার এক পরিস্থিতিই দাঁড় করিয়েছে খুলনা টাইগার্স।

খুলনার আজকের এ জয়ে এক দিন আগেই বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে। সিলেট আর রংপুর তো আগেই বিদায় নিয়েছে। আজ ১০ পয়েন্ট পাওয়া কুমিল্লাও নিজেদের শেষ ম্যাচ হেরে যাওয়ায় প্রথম চার দল নাগালের বাইরে চলে গেছে। আজ হারলেই আগামীকাল শেষ চার নিশ্চিতের লড়াইয়ে নামতে হতো খুলনাকে। মুশফিকুর রহিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত দুই ইনিংসে সে দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়নি তাদের।

ব্যাটিং লাইনআপে রদবদল এনে মিরাজকে ওপেনিংয়ে আনার জুয়াটা ভালোই কাজে লেগেছে। নিজের ব্যাটিং সত্তাটা ভুলে যেতে বসা মিরাজ ফিরেছেন ফর্মে। আজ আহত অবসর হয়ে মাঠ ছাড়ার আগে ৪৫ বলে ৭৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। কুমিল্লার বোলারদের বাজে বোলিংয়ের পুরো ফায়দা তুলে নিয়ে মেরেছেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। পরিবর্তিত ওপেনারের এমন ফর্মের বিপরীতেই আছেন নাজমুল হোসেন। বয়সভিত্তিক দলে মিরাজের সঙ্গী বাজে ফর্ম ধরে রেখে আজও আউট ১ রানে।

নাজমুলকে ফিরিয়ে একটু আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা ইফরানকে অবশ্য মাটিতে নামিয়ে এনেছেন রাইলি রুশো। মুজীব উর রহমানের বলে আউট হওয়ার আগের ইফরানের এক ওভারেই তিন ছক্কা মেরেছেন রুশো। আজও দুর্দান্ত বল করেছেন মুজীব। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রানে ১ উইকেট তাঁর। কিন্তু তাঁর দলের অন্য বোলাররা বাকি ১৬ ওভারেই দিয়েছেন ২০০ রান।

তাঁদের এমন উদার হতে বাধ্য করেছেন মুশফিক। এ বিপিএলেই ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৯৬ রানের এক ইনিংস খেলেছিলেন। সেটাকে আজ ছাড়িয়ে গেলেন। ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেঞ্চুরি পেতেই পারতেন। সৌম্যের শেষ ওভারে মাত্র ৮ রান দরকার ছিল। কিন্তু এক চার সহ মাত্র ৬ রান নিতে পেরেছেন। শেষ বলে মারার মতো বল পেয়েও মাত্র ১ রান নিতে পারায় থামতে হয়েছে ৯৮তে। মিরাজের সঙ্গে ১৬৮ রানের জুটি গড়েছেন ৯১ বলে। তাতে ৯১ রান অবশ্য মুশফিকেরই এনে দেওয়া।

২১৯ রানের লক্ষ্যে কুমিল্লার কোনো ব্যাটসম্যানই টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেননি। আগের ম্যাচেই ফিফটির দেখা পাওয়ায় ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন সাব্বির। প্রথম বলেই শূন্য হাতে ফিরেছেন। অন্য ওপেনার ১০ রান করেছেন ১৩ বলে। সৌম্যের ১০ রান এসেছে ১৭ বলে! খুড়িয়ে খুড়িয়ে ২০ ওভার কাতীয়ে দেওয়া কুমিল্লার ইনিংস শেহশ হয়েছে অলআউট না হওয়ার তৃপ্তিতে। ৯ উইকেটে ১২৬ রানে শেহশ করতে পারার পেছনে থারাঙ্গার ৩২-ই অবদান রেখেছে।