জামাল ভূঁইয়া স্বস্তি পাচ্ছেন যাকে দেখে

চোট কাটিয়ে ডিফেন্ডার তপু ফিরে আসায় জামাল ভূঁইয়ার স্বস্তি। ফাইল ছবি
চোট কাটিয়ে ডিফেন্ডার তপু ফিরে আসায় জামাল ভূঁইয়ার স্বস্তি। ফাইল ছবি

জাতীয় দলের অনুশীলনে যোগ দিয়েই ভালো লেগেছে জামাল ভূঁইয়ার। হাঁটুর চোটের কারণে প্রায় ১১ মাস মাঠের বাইরে ছিলেন সেন্টারব্যাক তপু বর্মণ। চোট কাটিয়ে ফেডারেশন কাপ দিয়ে মাঠে ফিরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের জন্য ডাক পেয়েছেন জাতীয় দলেও। তপুকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে পাওয়ায় স্বস্তিবোধ করছেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার তপু। রক্ষণভাগ সামলে ওপরে উঠে গিয়ে গোল করতেও জানেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত সাফ ফুটবলের প্রথম দুই ম্যাচে ভুটান ও পাকিস্তানের বিপক্ষে গোল করেছিলেন এই সেন্টারব্যাক। চোটে পড়ার আগে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। ভিয়েনতিয়েনে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছিলেন এই সেন্টারব্যাক।

তাঁর ফিরে আসাটা অধিনায়ক জামালের জন্য স্বস্তির হবে এটাই স্বাভাবিক, ‘সবাই জানে তপু বাংলাদেশের সেরা ডিফেন্ডার। ও দলে ফিরে আসাটা আমাদের জন্য স্বস্তির। সে অভিজ্ঞ, সে জানে কীভাবে বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে হয়। আশা করি ওর ফিরে আসাটা দলের জন্য খুবই ভালো হবে।’

জাতীয় দলে ফিরলেও তপুর একাদশে খেলাটা চূড়ান্ত নয়। সুযোগ পেয়ে রিয়াদুল হাসান ও টুটুল হোসেন ভালো খেলেছেন। বিশেষ করে রিয়াদুলের প্রশংসা তো সবার মুখে মুখে। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে তাদের মাটিতে সুনীল ছেত্রীর বিপক্ষে তরুণ রিয়াদুলের লড়াই ছিল দেখার মতো। এ ছাড়া অভিজ্ঞ ইয়াসিন খান তো আছেনই। তাই তপুর একাদশে ফিরে আসাটা কঠিনই হবে, ‘অনুশীলনে যে ভালো করবে, সেই একাদশে খেলবে। এখনো বলা যাচ্ছে না কারা একাদশে খেলতে যাচ্ছে।’

লড়াই করে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদী তপু, ‘জাতীয় দলে ফেরার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। আমি মনে করি আগের মতোই ফিট আছি। এখন পারফরম্যান্স করেই জাতীয় দলের একাদশে ফিরতে চাই।’ বাংলাদেশ দলের রক্ষণভাগে তপু ফিরতে যাচ্ছেন কিনা, তার জন্য আপাতত অপেক্ষা করতে হবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিনির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ শুরু করবে বাংলাদেশ।