শিরোপা রিয়াল মাদ্রিদের

>
অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি
অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। দুই দলই গোলের ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপর টাইব্রেকারে শিরোপা জেতে রিয়াল

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালটি হতে পারত আগুনঝরা এক এল ক্লাসিকো। বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে। সেটা হয়নি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত মাদ্রিদ ডার্বিতে রূপ নেয়। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনাল নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে গোল না হওয়ায় ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হয় পেনাল্টি শুট আউট নামক ভাগ্যের সুতায়। সেখানে ভাগ্যদেবী রিয়ালের পক্ষেই ছিল। টাইব্রেকে অ্যাটলেটিকোকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

‘গোল করব না’—এমন প্রতিজ্ঞা নিয়ে বাদশাহ আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামের মাঠে অ্যাটলেটিকো আর রিয়ালের খেলোয়াড়েরা নেমেছে। রিয়াল বস জিদান ছক সাজিয়েছেন খানিকটা রক্ষণাত্মক। আর অ্যাটলেটিকোও ‘আগে নিজের ঘর সামলাও’ এমন নীতি মেনে নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ করে।
নির্ধারিত সময়ের পুরো ৯০ মিনিট খেলে দুই দলের কেউ বল জালে জড়াতে পারেনি। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের বাঁশি বাজায় রেফারি। সৌদি আরবের জেদ্দায় এই দুই দলের খেলোয়াড়দের কেউ অতিরিক্ত সময়েও গোল দিতে পারেনি। বরং এক ফ্রি কিক নিয়ে নাটক থামাতে গিয়ে লাল কার্ড দেখাতে হয় রেফারিকে।

রক্ষণাত্মক খেললেও পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জিদানের পরিকল্পনাই হয়তো ছিল, ‘যে করেই হোক শিরোপা ঘরে তুলতে হবে।’

অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি
অ্যাটলেটিকোকে হারিয়ে স্প্যানিশ সুপার কাপ শিরোপা ঘরে তুলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি

১১৫ মিনিটের মাথায় ভালভার্দে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় রিয়াল মাদ্রিদ। ১০ জনের মাদ্রিদকে পেয়েও গোল দিতে ব্যর্থ হয় সিমিওনের শিষ্যরা।

বলের দখলে পিছিয়ে ছিল অ্যাটলেটিকো। গোলমুখে তারা শটও নিয়েছে কম, যা নিয়েছে তার বেশির ভাগই ছিল এলোমেলো, বেপথু। পেনাল্টি শুট আউটেও অ্যাটলেটিকোর একই দশা। প্রথম দুটি শটই তারা মিস করেছে! প্রথম শট নেন কারভাহাল। রিয়ালের হয়ে ঠিকঠাক বল জালেও জড়ান তিনি। এরপর আসে অ্যাটলেটিকোর পালা। রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর হয়ে প্রথম শট নেন সাউল; প্রথম শটটিই মিস করে বসেন! এরপর অ্যাটলেটিকোর হয়ে দ্বিতীয় শটটি মিস করেন টমাস। শেষ পর্যন্ত ৪-১ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা উৎসব করে রিয়াল মাদ্রিদ।