মাশরাফিদের বিদায়ে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে বিপিএল

বোলারদের পারফরম্যান্স ম্যাচটা সহজ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের জন্য। ছবি: প্রথম আলো
বোলারদের পারফরম্যান্স ম্যাচটা সহজ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের জন্য। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা প্লাটুনকে বিদায় করে দিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ফলে কোয়ালিফায়ারে টিকে রইল মাত্র তিন দল—চট্টগ্রাম, রাজশাহী রয়্যালস ও খুলনা টাইগার্স। এ তিন দলের কেউই আগে বিপিএল জেতেনি


সহজ এক ম্যাচকে কঠিন বানিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। এলিমিনেটরে মাত্র ১৪৫ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলটির টপ অর্ডারের সবাই বেশ আগ্রাসী মূর্তিতে খেলেছেন। কিন্তু প্রথম থেকেই টেস্ট মেজাজে খেলে ম্যাচটাকে জমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গেইল। ১৫তম ওভারে গেইলের প্রশ্নবিদ্ধ ইনিংস শেষ হওয়ার পর অবশ্য জয় পেতে আর কষ্ট হয়নি চট্টগ্রামের। মাশরাফি বিন মুর্তজার ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠে গেছে তারা।

এলিমিনেটরের এই হারে এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে কাগজে-কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ঢাকা। এর ফলে অবশ্য একটি বিষয়ে স্বস্তি পাবেন সবাই। দলের প্রয়োজনে অন্তত এবার আর ১৪টি সেলাই নিয়ে আর খেলতে হবে না মাশরাফিকে।

আজ ঢাকা অবশ্য যেভাবে খেলেছে, তাতে তাদের বিদায় নেওয়াটাই প্রাপ্য ছিল। জিততেই হবে—এমন ম্যাচে দলকে ১৫ রানে রেখে বিদায় নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এই ১৫ রানে তামিমের অবদান ৩। ১০ বল খেলে করা তামিমের ইনিংসের পর ৭ বল খেলে ০ রান উপহার দিয়ে ফিরেছেন এনামুল হক ও লুইস রিস। ফলে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তুলতে পেরেছে ঢাকা। এই করুণ দশা পাওয়ার প্লেতেও শেষ হয়নি। এক প্রান্তে মুমিনুল ধরে রাখলে অন্য প্রান্তে আসা যাওয়া চলছিল। একপর্যায়ে ৩১ বলে ৩১ রান করা মুমিনুলও বিদায় নিয়েছেন। ১৩তম ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তুলেছিল ঢাকা।

শাদাব খান ও থিসারা পেরেরা ঢাকাকে এক শ পার করিয়েছেন। ১৩ বলে ২৫ করে পেরেরা ফিরলেও মাশরাফিকে নিয়ে শেষ জুটিতে ৪০ রান এনে দিয়েছেন শাদাব। ১৪ বলের এ জুটিতে মাশরাফির অবদান অবশ্য ২ বলে শূন্য। ৪১ বলে ৬৪ রান করে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন লেগ স্পিনার শাদাব।

১৪৫ রানের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের শুরুটা ছিল বেশ বাজে। মাশরাফির প্রথম ৫ বলেই কোনো রান নিতে পারেননি গেইল, শেষ বলে প্রান্ত বদল করেছেন। পরের ওভারেও একই দশা। ভাগ্যিস, অন্য প্রান্তে জিয়াউর রহমান অন্য মূর্তিতে দেখা দিয়েছেন। ১২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ রান করেছেন জিয়া। তিনে নামা ইমরুলও মাশরাফির স্পেলের শেষ দুই বলে দুই ছক্কাসহ তিন ছক্কায় ৩২ রান করেছেন। ৯১ রানে ইমরুল ফেরার পর লক্ষ্যটা বেশ সহজই ছিল চট্টগ্রামের। কিন্তু ক্রিস গেইলের ইনিংসটা চট্টগ্রামের পথ কঠিন করে দিচ্ছিল। পরে শাদাবের বলে ৪৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস শেষ হয়।

অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এরপর ম্যাচ শেষ করতে দেরি করেননি। ৪ ছক্কায় ১৪ বলে ৩৪ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৪ বল হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করে এসেছে চট্টগ্রাম।