দ. আফ্রিকায় বাংলাদেশের যুবাদের 'প্রেরণা' হলো অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টাই করে যুব বিশ্বকাপে ভালো করার বার্তা বাংলাদেশের। ছবি: আইসিসির সৌজন্যে
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টাই করে যুব বিশ্বকাপে ভালো করার বার্তা বাংলাদেশের। ছবি: আইসিসির সৌজন্যে
>সামনেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগেই আয়োজক দেশের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য একে অন্যের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। বাংলাদেশ কাল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টাই করে টুর্নামেন্টের আগে নিজেদের শক্তিমত্তাটা জানিয়ে দিয়েছে। ১৮ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ

এর আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে হয়নি। অথচ দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য ম্যাচগুলো খুবই জরুরি বাংলাদেশের জন্য। আর মাত্র তিন দিন পর বিশ্বকাপ শুরু। কাল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রস্তুতিটা ভালোই সেরেছে জুনিয়র টাইগাররা। ম্যাচটা ‘টাই’ করে বিশ্বকাপের আগে একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়ে রাখা হলো—যুব বিশ্বকাপে অনেক দূর যেতেই দক্ষিণ আফ্রিকা গিয়েছে তৌহিদ-আকবররা।

এ ম্যাচেও চোখ রাঙিয়েছিল বৃষ্টি। তবে কপাল ভালো ম্যাচটা পরিত্যক্ত হয়নি। ৪৩ ওভারে নামিয়ে নিয়ে আসা ম্যাচে বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাটিং করে ২৫০ রান করে অলআউট হয়। অস্ট্রেলিয়াও জবাব দিতে নেমে সেই আড়াই শতেই গুটিয়ে যায়।
টসজয়ী বাংলাদেশের তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনের ব্যাট কাল কথা বলেছে। এ দুজনের গড়া ৭০ রানের ওপেনিং জুটি দলকে বেশ কিছুটা এগিয়ে দেয়। টড মারফির বলে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে তানজিদ করেন ৩২ রান। ওদিকে ৮২ বলে ৫২ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে যান আরেক ওপেনার পারভেজ। মিডল অর্ডারের হাল ধরেছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়। ৫৭ বলে ৫৩ রান করে কোরি কেলির বলে অধিনায়ক ম্যাকেঞ্জি হার্ভির হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হৃদয়। তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান ও অধিনায়ক আকবর আলী ব্যাট হাতে অতটা সফল না হওয়ায় সংগ্রহটা আড়াই শর বেশি হয়নি। একপর্যায়ে তো ২০০ হয় কিনা, তা নিয়েই শঙ্কা জেগেছিল। কিন্তু সব শঙ্কা তাড়িয়ে দেন ছয় নম্বরে নামা শামীম হোসেন। তিনি ৩৩ বলে ৫৯ রানের এক ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল তিনটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা।

২৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং জুটিটা বাংলাদেশের মতোই ভালো করছিল। তবে মাহমুদুল হাসানের থ্রো তে রানআউট হয়ে ফেরেন স্যাম ফানিং (৫০ বলে ৪৬)। ভাঙে ওপেনিং জুটি। এরপর অধিনায়ক হার্ভির সঙ্গে একটা জুড়ি গড়ার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার লিয়াম স্কট। লাকলান হার্ন (৩৯ বলে ৪১) ও কোরি কেইলের (২২ বলে ৪৪) দুটি টি-টোয়েন্টি সুলভ ইনিংসে বাংলাদেশ শিবিরে হারের শঙ্কা জেগেছিল। তবে পরে ধীরে সুস্থে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন বাংলাদেশের বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৭ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেওয়া শরিফুল ইসলামই মূলত আটকে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। এ ছাড়া বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ ২৭ রানে ২টি এবং শাহীন আলম ও তৌহিদ হৃদয় নেন একটি করে উইকেট।

প্রস্তুতিটা দুর্দান্ত হলো। এখন মূল টুর্নামেন্টটা ভালো হলেই হয়। গ্রুপ ‘সি’তে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তান। আগামী ১৮ জানুয়ারি পোচেফস্ট্রুমের জেবি মার্কস ওভালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের। উইটর‌্যান্ড ওভালে ২১ জানুয়ারি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচ। আর শেষ ম্যাচটি পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই জেবি মার্কস ওভালে, ২৪ জানুয়ারি।