স্মিথ-বাউচার আসায় জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন ভিলিয়ার্স

দেশের হয়ে ফিরতে চান ডি ভিলিয়ার্স। ছবি : এএফপি
দেশের হয়ে ফিরতে চান ডি ভিলিয়ার্স। ছবি : এএফপি
>২০১৮ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স। পরে ২০১৯ বিশ্বকাপে ফিরতে চাইলেও পারেননি। বর্তমান নির্বাচক কমিটি ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরাতে আগ্রহী। জানা গেল, দেশের হয়ে খেলায় ফিরতে আগ্রহী ডি ভিলিয়ার্সও

বিশ্বকাপে প্রতিটি দেশই চায় নিজেদের সর্বোচ্চ শক্তিশালী দলটা পাঠাতে। দক্ষিণ আফ্রিকাও এর ব্যতিক্রম নয়। যে কারণে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে দেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরাতে তোড়জোড় শুরু করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বোর্ড। এখন জানা গেল, জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ খেলার জন্য আগ্রহী ডি ভিলিয়ার্স নিজেও।

অবশ্য ২০১৮ সালে হুট করে অবসর নেওয়া ডি ভিলিয়ার্সের এ আগ্রহ আজকের না। তিনি ফিরতে চেয়েছিলেন গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপেই। কিন্তু তৎকালীন বোর্ড ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরানোর ব্যাপারে মোটেও আগ্রহ দেখায়নি। ফলে ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে বোর্ডের একটা দূরত্ব তৈরি হয়। ডি ভিলিয়ার্সকে দলে না নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষ কোনো লাভ হয়নি বিশ্বকাপে। উঠতে পারেনি নকআউট পর্বে। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে আসে পালাবদল। বোর্ডের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পান সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ। এসেই কোচ হিসেবে নিয়োগ দেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে সেরা উইকেটরক্ষক মার্ক বাউচারকে। এসেই অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে বাউচার-স্মিথের সঙ্গে সম্মত হয়েছেন অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসিও।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের সঙ্গে স্মিথ আর বাউচার আবারও সরাসরি যুক্ত হয়েছেন দেখে দলে ফেরার আশাটা আবারও জেগে উঠেছে ডি ভিলিয়ার্সের মনে, ‘আমার জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্নটা সত্যি হবে কী না, সেটার জন্য অনেক কিছু লাগবে। আমি নিজে যদিও জাতীয় দলে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছি। আমি নিয়মিত বাউচার, স্মিথ আর ফাফের সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি এ নিয়ে। আমাকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে তারাও অনেক আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে এখনো অনেক সময় বাকি এবং এর মধ্যে আরও অনেক কিছুই ঘটতে পারে। সামনে আইপিএল আছে, সেখানে আমাকে ফর্মে থাকতে হবে। আমি এখনই ফেরার ব্যাপারে কাউকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি না। কেননা আগে থেকেই নিশ্চয়তা দিয়ে আশপাশের মানুষ ও ভক্তদের আশার বেলুন ফুলাতে গিয়ে পরে হতাশ করতে চাই না। এ সময়ে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব। তারপর দেখা যাবে বছর শেষে কী ঘটে।’

কিছুদিন আগে মার্ক বাউচার কোচ হয়ে ডি ভিলিয়ার্সকে ফেরানোর ব্যাপারে খোলাখুলি মত দিয়েছিলেন, ‘আপনি যখন বিশ্বকাপে খেলতে যাবেন, আপনি চাইবেন আপনার সেরা খেলোয়াড়গুলো দলে থাকুক। আমি যদি মনে করি সে আমাদের অন্যতম সেরা একজন খেলোয়াড়, তাহলে কেন আমি ওর সঙ্গে একটু কথা বলে ওকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করব না? আমি মাত্রই দায়িত্ব পেয়েছি। বেশ কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে হয়তো আমি কথা বলে দেখতে পারি, তারা কী করছে না করছে সেটা জানতে পারি। আপনি চাইবেন আপনার সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে। এখন দলে খেলোয়াড় বা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দু-একটা বিষয়ে মনোমালিন্য থেকে থাকলে সেগুলো মেটানোর জন্য যদি আমাকে উদ্যোগ নিতে হয়, তাহলে কেন নয়? দক্ষিণ আফ্রিকার ভালোর জন্য আমাকে সেটাই করতে হবে।’