ভুল করলে মাশুল দিতেই হবে

আজ বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ছবি: প্রথম আলো
আজ বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জেমি ডের মুখ অন্ধকারে ঢাকা। তাঁর অধীনে বাংলাদেশ আগে যে হারেনি, তা নয়। কিন্তু আজকের মতো হতাশ জেমিকে আগে কখনো দেখা গিয়েছে বলে মনে হয় না। আসলে দলের এমন পারফরমেন্সের পর কোন কোচই-বা হতাশ না হয়ে থাকতে পারেন! ম্যাচে ভুলের খেসারত দিতে হয়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ।

গত আসরের তুলনায় এবারের ফিলিস্তিন দলটি অনেকাংশেই দুর্বল। মাঠের পারফরমেন্সে কোনো ভাবেই মন জয় করতে পারেনি দেশটি। তবু বাংলাদেশকে ২-০ গোলে খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি তাদের। ম্যাচ শেষে ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়েছেন জেমি ডে, ‘আমাদের বলের দখল তুলনামূলক বেশিই ছিল। গোলের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। পাশাপাশি কিছু ভুল হয়েছে। ফিলিস্তিনের মতো দলের সঙ্গে ভুল হলে এর মাশুল দিতেই হবে। কারণ মানের বিচারে তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তাদের ঘরোয়া ফুটবলের মান আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত।’

বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা সময় মতো বলের পেছনে ছুটলে প্রথম গোলটা নাও পেতে পারত ফিলিস্তিন। অফসাইডের দাবিতে হাত তুলে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের একাধিক খেলোয়াড়। আর দ্বিতীয় গোলে তো সেন্টারব্যাক ইয়াসিন খান ও রাইট ব্যাক রায়হান হাসান দায় এড়াতে পারবেন না কোনো ভাবেই। দুই গোল নিয়ে জেমির ব্যাখ্যা, ‘ফুটবলে ভুল থেকেই গোল হয়। প্রথম গোলে খানিকটা অফসাইড হলেও হতে পারত। দ্বিতীয় গোলটি ডিফেন্ডাররা সঠিকভাবে মার্কিং করতে পারেনি। ’

সংবাদ সম্মেলনে ফিলিস্তিনের প্রধান কোচ না এসে পাঠিয়েছেন সহকারী কোচ ফাহাদ আতেলকে। এক গাদা নতুন খেলোয়াড় নিয়ে জয় পাওয়ায় তাঁর কণ্ঠে বাড়তি উচ্ছ্বাস, ‘তরুণ দল হিসেবে আমাদের খেলোয়াড়রা ভালোই পারফরম্যান্স করেছে। ৭০ ভাগ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের হয়ে নতুন খেলার স্বাদ পেয়েছে। এই বিষয়টি আমাদের জন্য বেশি ইতিবাচক।’