জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশ যুবাদের

জয়ের পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত
জয়ের পর বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের উচ্ছ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপের শুরুটা দারুণ হয়েছে আকবর আলীদের। আজ পচেফস্ট্রুমে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ–লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়েছেন বাংলাদেশের যুবারা।

মেঘলা আবহাওয়ায় টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন যুবা অধিনায়ক আকবর আলী। তাঁর সিদ্ধান্ত যে ভুল নয়, সেটা পঞ্চম ওভার থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। তানজিম হাসান সাকিবের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়েসলি মাধেভেরে। দলকে ২৯ রানে রেখে জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ওপেনার আউট হয়ে ফিরেছেন ১৯ বলে ১৮ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে মিল্টন শুম্বার সঙ্গে জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার এমানুয়েল বাওয়া। দুজনে মিলে ৩৯ রান তুলেছেন।

২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে আবার এলোমেলো হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। ১ উইকেটে ৬৮ রান থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই জিম্বাবুয়ের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৮৮। খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করা টাডি ওয়ানেশেও। ১২৭ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন ডেন শাডেনডর্ফ ও টাউরেই টুগওয়েটে। কিন্তু তাঁদের লড়াই শুরু হতে না হতেই আসে বৃষ্টি। এর আগে ২৮.১ ওভারে ১৩৭ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে।

বৃষ্টির কারণে জিম্বাবুয়ে আর ব্যাট করতে নামতে পারেনি। ডাকওয়ার্থ–লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে ২২ ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩০ রান। একদিকে বৃষ্টির চোখরাঙানি, অন্যদিকে লক্ষ্যটাও অতটা ছোট নয়। শুরু থেকেই মেরে খেলতে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেন। দুজনে মিলে ২ ওভারে তুলে ফেলেন ৪১ রান। পরের ওভারে প্রথম বলে অবশ্য আউট হয়ে ফেরেন তানজিদ। এর আগে ১০ বলে ৩টি করে চার ও ছয়ে ৩২ রান করেছেন তিনি। এরপর আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে ৬৪ বল হাতে রেখে দলেক জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন পারভেজ ও মাহমুদুল হাসান। পারভেজ ৩৩ বলে ৫৮ ও মাহমুদুল ২৫ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে পারভেজের হাতে।

প্রথম ম্যাচেই জয়টা নিশ্চিত আকবারদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যেতে।