মেসির গোল দিয়ে সেতিয়েন যুগ শুরু

ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মেসি। ছবি: এএফপি
ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মেসি। ছবি: এএফপি
>

লা লিগায় গ্রানাডার বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন লিওনেল মেসি। এ জয়ে সমান পয়েন্ট (৪৩) নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে রিয়ালকে পেছনে ফেলল বার্সেলোনা; লিগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে এখন বার্সেলোনা।

ক্যাম্প ন্যুতে হু হু করে বাতাস বইছিল। বার্সেলোনার ঠান্ডা বাতাস মেসি-গ্রিজমান ভক্তদের হৃদয়ে খানিকটা ছুঁয়ে গেছে কি না জানা যায়নি। তবে ম্যাচের ৭৫ মিনিট পর্যন্ত দম আটকে রেখেছে বার্সা সমর্থকেরা। বুকের ভেতর ধুকপুকানি অনুভব করেছেন কিকে সেতিয়েন। কারণ ভালভার্দে যুগ সমাপ্তির পর বার্সেলোনায় এখন সেতিয়েন যুগ শুরু। বার্সার হয়ে নিজের প্রথম ম্যাচে নিজেদের মাঠেই জয় না পাওয়াটা বড্ড বেরসিক হয়ে যেত সেতিয়েনের জন্য।

সেতিয়েনকে হতাশ করেননি তাঁর শিষ্যরা। গোল ব্যবধান কম হলেও বার্সেলোনার পরিবর্তনটা ছিল চোখে পড়ার মতো। বলের দখল নিয়ে এমন আক্রমণাত্মক ফুটবলই তো চেয়েছে কাতালানিয়ান সমর্থকেরা। সেতিয়েন তাদের সেই ফুটবলটাই উপহার দিয়েছেন। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে এসে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। একমাত্র গোলের জাদুকর আর কেউ নন; বার্সার আর্জেন্টাইন ‘বিজ্ঞাপণ’ মেসি।

পুরো ম্যাচে আধিপত্য ধরেই খেলেছে স্বাগতিকেরা। ম্যাচের দশ মিনিটের মধ্যেই গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল মেসি-গ্রিজমানরা। সপ্তম মিনিটে ফাতি গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। এরপর সুযোগ পান গ্রিজমান। বার্সেলোনার ফরাসি এই তারকাও বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হন। অন্যদিকে বার্সার আক্রমণ রুখতে দিশেহারা গ্রানাডা রক্ষণ একের পর এক ফাউল করেই গেছে! প্রথম ১৩ মিনিটে গ্রানাডার বিপক্ষে ৭ বার ফাউলের বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি।

দ্বিতীয়ার্ধে দুবার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন গ্রানাডার জার্মান সানচেজ। বদলে যাওয়া বার্সেলোনা দশ জনের গ্রানাডাকে পেয়ে আরও চেপে ধরে। গোল দিতেও আর দেরি হয়নি। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে সানচেজ মাঠ ছাড়েন। এরপর ৭৬ মিনিটে ভিদাল-মেসি নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া–নেওয়া সেরে নেন একবার। ভিদালের কাটব্যাকে দুর্দান্তভাবে বল জালে জড়ান মেসি। মেসির গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। অবশ্য এর আগে ম্যাচে বেশ কটি ফ্রি কিক পেয়েছেন মেসি। সেগুলোর একটিও কাজে লাগাতে না পারায় মেসিভক্তরা নিশ্চিত ভাবেই হতাশ হয়েছেন।

ম্যাচে ৮৩ শতাংশ সময় নিজেদের পায়ে বল রেখেছে বার্সেলোনা। আর গোলমুখে শট নিয়েছে ১৮টি যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে।