ক্রিকেটারদের ভাড়া করা উড়োজাহাজে পাকিস্তানে নেওয়ার চিন্তা বিসিবির

গতকাল পাকিস্তান সফর নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। ছবি: প্রথম আলো
গতকাল পাকিস্তান সফর নিয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি। ছবি: প্রথম আলো

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান কাল মাঠে এলেন দুবার। প্রথমবার শুধুই খেলোয়াড়দের খোঁজখবর নিতে। পরে অন্য একটি বিষয়ে কথা বলতে। বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেল, সেই অন্য একটি বিষয় বাংলাদেশ দলের পাকিস্তানে যাওয়ার ফ্লাইট-সংক্রান্ত। টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য বিসিবি দলকে বিশেষ ভাড়া করা বিমানে (চার্টার্ড ফ্লাইট) লাহোরে পাঠানোর কথা ভাবছে।

ভৌগোলিক দূরত্বে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান খুব বেশি দূরে না হলেও আকাশপথে সেখানে যাওয়াটা একটু জটিলই। প্রতিবেশী দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা; এমনকি নেপাল, ভুটানে যেতে সরাসরি ফ্লাইট থাকলেও ঢাকা থেকে পাকিস্তানে যেতে হয় অন্য কোনো দেশ হয়ে। গত বছর যেমন বিসিবির যে দুটি দল পাকিস্তানে গেছে, দুটিই দোহা হয়ে। সময়ও লেগেছে ৩-৪ গুণ বেশি। অথচ ঢাকা থেকে সরাসরি লাহোরে যেতে ৩-৪ ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়।

ভ্রমণের ঝক্কি কমাতেই বিসিবি এখন বিকল্প উপায় খুঁজছে। ভাড়া করা বিমানে যাওয়ার ভাবনাটা এ কারণেই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন কাল প্রথম আলোকে বললেন, ‘চার্টার্ড বিমানে গেলে ভাড়া প্রায় একই পড়বে। আমরা তাই সম্ভাব্য সেরা বিকল্প খুঁজছি। এখনো অবশ্য বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি, তবে এটা নিয়ে কাজ চলছে।’

বাংলাদেশ দল যেভাবেই পাকিস্তানে যাক, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দলের সঙ্গে থাকছেন বলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন, ‘ওদের বলেছি চিন্তার কিছু নেই। শুধু খেলা নিয়ে চিন্তা করো। মানসিক প্রশান্তি ছাড়া ক্রিকেট খেলা অনেক কঠিন। টি-টোয়েন্টি এমনি ভীষণ টেনশনের খেলা। সেকেন্ডের মধ্যে খেলা ঘুরে যায়। ওদের বললাম যে ঠান্ডা মাথায় খেলবে, কিচ্ছু হবে না। আমি যাব, কোনো অসুবিধা নেই।’ নাজমুল তো আছেনই, বিসিবির কয়েকজন পরিচালক এবং প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনেরও যাওয়ার কথা দলের সঙ্গে।

ওদিকে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার বৈঠকে বসেছিল পাকিস্তানের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। পাকিস্তানি পত্রিকা দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, সভায় বাংলাদেশ দলের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের হোটেল এবং মাঠে যাওয়া-আসার পথে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকবেন ক্রিকেটাররা। লাহোরে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে মোতায়েন করা হবে ১০ হাজার পুলিশ। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের জন্য নিরাপত্তা দেবেন সামরিক ব্যাটালিয়ন, রেঞ্জার্স উইং এবং ৪ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য।

বিসিবি সভাপতি জানিয়েছেন, শুধু পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী নয়; বাংলাদেশের দুটি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও থাকবেন দলের সঙ্গে।