এমন গোল নতুন নয় মতিন মিয়ার জন্য

মতিন মিয়া। ছবি: প্রথম আলো
মতিন মিয়া। ছবি: প্রথম আলো

মতিন মিয়া নামটি দেশের ফুটবলে অনেক দিন ধরে আলোচনায়। তবে শোরগোল বলতে যা বোঝায় তা শুরু হয়েছে গতকাল থেকেই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ের ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন দ্রুত গতির এই ফরোয়ার্ড। তবে সবার মুখে মুখে তাঁর দ্বিতীয় গোলটি। মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে দ্রুতগতিতে বল টেনে নিয়ে তিনি যেভাবে ইনসাইড ডজে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে গোল করলেন তা এক কথায় মুগ্ধ করেছে সবাইকে। অনেকেই বলছেন, অনেক দিন পর বাংলাদেশের কোনো স্ট্রাইকারের কাছ থেকে এমন বুদ্ধিদীপ্ত গোল দেখা গেল।

এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে স্তুতি। ফুটবল সমর্থকেরা দারুণ সব বিশেষণ দিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছেন মতিনকে। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় গোল। প্রথম গোলটিও পেয়েছেন গতকালই। দেশের জার্সিতে গোলের খাতা খুলেই জোড়া গোল—দুর্দান্ত এক অর্জন। কেবল গোল করেই নয়, অনন্যগতি দিয়ে কাল শ্রীলঙ্কার রক্ষণব্যুহকে গোটা ম্যাচেই ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন এই স্ট্রাইকার।
তবে মতিন ২০১৭ সালের লিগে সাইফ স্পোর্টিংয়ের জার্সিতে আরও দুর্দান্ত এক গোল করে দর্শকদের মাত করে দিয়েছিলেন। সেটি পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের জন্য পাঠানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাঠায়নি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

কেমন ছিল সেই গোলটি?
৭ ডিসেম্বর, ২০১৭। প্রিমিয়ার লিগে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে গোলরক্ষকসহ চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তাক লাগানো গোল উপহার দিয়েছিলেন মতিন। নিজেদের ডিফেন্ডিং লাইনের একটু ওপরে বল পেয়ে সাপের মতো একে একে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। আর তাঁর পেছন পেছন দৌড়াচ্ছিলেন প্রতিপক্ষ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু মতিনের গতি ও নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে কেউ পেরে উঠলেন না। মতিনকে ডি বক্সে দেখে পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলেন গোলরক্ষক। তাঁকেও সাইড স্টেপে ছিটকে ফেলে ফাঁকা পোস্টে বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল দুর্দান্ত গোলটির ভিডিও ফুটেজ। গোলটি দেখে ঘুমকাতুরে বাফুফেও ক্ষণিক জেগে উঠে বলেছিল, ‘মতিনের গোল পুসকাস অ্যাওয়ার্ডের জন্য ফিফায় পাঠানো হবে। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত হয়নি। কাজটি খুব ছোট ছিল। কিন্তু সে ছোট কাজটি করতেই ভুলে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ফুটবল প্রশাসকেরা।

দেখে নিতে পারেন সেই গোলটি