'পজিশন' নিয়ে চিন্তা নেই নাজমুলের

বিপিএলের শেষটা ভালো হয়েছে নাজমুলের। ছবি: প্রথম আলো
বিপিএলের শেষটা ভালো হয়েছে নাজমুলের। ছবি: প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হতে পারেননি, তবে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা তাঁর। ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংসটা নতুন করে চিনিয়েছেন নাজমুল হোসেনকে। খুলনা টাইগার্সের হয়ে বিপিএল খেলা বাঁহাতি ওপেনার পরের ম্যাচে করেছিলেন অপরাজিত ৭৮। টুর্নামেন্টে ১১ ম্যাচে ৩৪.২২ গড়, ১৪৩.৯২ স্ট্রাইকরেটে ৩০৮ রান করা নাজমুল সুযোগ পেয়েছেন পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি দলে।

খুলনার হয়ে ওপেনিং পজিশনে ব্যাটিং করেছেন নাজমুল। জাতীয় দলে যে এই পজিশনে তাঁর খেলার সুযোগ নেই সেটি টিম ম্যানেজমেন্ট এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। ওপেনিং পজিশনে দারুণ এক টুর্নামেন্ট খেলা নাজমুল অবশ্য এ নিয়ে ভাবছেনই না, ‘পজিশন নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। যেহেতু দলে সুযোগ পেয়েছি, যেকোনো পজিশনে খেলার জন্য প্রস্তুত আছি। যেখানেই খেলব চেষ্টা করব ভালো করার। যেখানেই ব্যাটিং করি ভালো খেলার চেষ্টা করব।’

পজিশন নিয়ে চিন্তা নেই। তবে নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিশ্চয়ই আছে। নাজমুল অবশ্য এ ভাবনাও ভাবতে চাইছেন না। বরং বিষয়টি দেখছেন এভাবে, ‘সাধারণত আমি টপ অর্ডারে খেলি। ওখানে নামলে তো অবশ্যই ভালো। যেটা বললাম, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যেখানে নামায়, যেকোনো পজিশনে আমার রান করা উচিত। বড় বড় ব্যাটসম্যানরা যেকোনো পজিশনে ব্যাটিং করে এবং রান করার সক্ষমতা রাখে। ওভাবেই আমি চিন্তা করছি যে যেখানে ব্যাটিংয়ের সুযোগ আসবে, সেখানে ভালো করার চেষ্টা করব।’

পাকিস্তানে যেহেতু খেলতে যাচ্ছেন, নিরাপত্তার প্রসঙ্গ বারবার আসছে। নাজমুল বলছেন, তাঁর ভাবনাজুড়ে এখন শুধুই ক্রিকেট, ‘এসব নিয়ে আসলে চিন্তা করছি না। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে খেলাটায় মনোযোগ রাখছি। যেহেতু এগুলো আমাদের হাতে নেই, এগুলো নিয়ে চিন্তা করছি না। একবারও ভাবিনি। গত বারও আমি গিয়েছি পাকিস্তানে (২০১৮ সালে ইমার্জিং টিমের হয়ে)। এগুলো নিয়ে একবারেই চিন্তা করছি না। ম্যাচ নিয়ে ভাবছি।’

পাকিস্তানে আগে খেলেছেন বলে নাজমুলের বেশ ভালো ধারণা তৈরি হয়েছে লাহোরের উইকেট সম্পর্কে, ‘আমার কাছে মনে হয় যে আমরা যে উইকেটে খেলে এসেছি, সেটা খুব ভালো ছিল। স্পোর্টিং উইকেট ছিল। বোলাররা যদি ভালো জায়গায় বোলিং করে তাহলে বোলাররা সাহায্য পায়, ব্যাটসম্যানরাও সাহায্য পায়। যদি আমাদের পরিকল্পনা এবং শক্তিমত্তা অনুযায়ী খেলতে পারি (টি-টোয়েন্টি সিরিজে) তাহলে অবশ্যই বড় রান করা এবং বোলাররা নিয়মিত উইকেট নেওয়ার সামর্থ্য রাখে।’