পাকিস্তানি সমর্থকদের 'জানোয়ার' বলেছিলেন গিবস

বিপিএলে সিলেট থান্ডারের কোচ ছিলেন হার্শেল গিবস। ছবি: প্রথম আলো
বিপিএলে সিলেট থান্ডারের কোচ ছিলেন হার্শেল গিবস। ছবি: প্রথম আলো
>২০০৭ সালে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তানি সমর্থকদের প্রতি বর্ণবাদী মন্তব্য করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন হার্শেল গিবস। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এ ব্যাটসম্যান কেন খেপেছিলেন তা জানালেন টুইটারে

পাকিস্তান সফরে পরশু মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। লাহোরে সেদিন গড়াবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। পাকিস্তানের দর্শকদের সামনে ভালো খেলার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে মাহমুদউল্লাহদের। চ্যালেঞ্জটা ঠিক কেমন হতে পারে, সে সমন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে হার্শেল গিবসের একটি ঘটনা থেকে ধারণা নিতে পারে বাংলাদেশ দল। টুইটারে এ নিয়ে লিখেছেন গিবস নিজেই।

২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টের ঘটনাটি নিয়ে টুইটারে গিবসের কাছে জানতে চেয়েছিলেন তাঁর-ই এক অনুসারী। তাঁর প্রশ্ন ছিল,২০০৭ সালে সতীর্থ পল হ্যারিসের পক্ষ নিয়ে দর্শকদের প্রতি যে বর্ণবাদী মন্তব্য করে গিবস তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন, সেটি কি ছিল? সিলেট থান্ডারের কোচ হিসেবে এবার বিপিএল ঘুরে যাওয়া গিবস প্রশ্নের জবাব দেন রি-টুইট করে, ‘উচ্ছৃঙ্খল কিছু পাকিস্তানি সমর্থকদের আমি জানোয়ার বলেছিলাম। ওরা আমার সন্তান ও স্ত্রীকে প্লেয়ার্স ভিউয়িং এরিয়ার আসন থেকে উঠে যেতে বাধ্য করেছিল।’

তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্টে গিবস এ মন্তব্য করে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৯০ টেস্ট খেলা সাবেক এ ব্যাটসম্যান পাকিস্তানি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ওরা ‘জানোয়ারের মতো আচরণ করছে’। গিবসের এ কথা ধরা পড়েছিল স্টাম্প মাইক্রোফোনে। আইসিসি এ জন্য তাঁকে শুরুতে সিরিজের বাকি দুই টেস্টে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু পরে সিরিজের শেষ টেস্ট, এক টি-টোয়েন্টি এবং এক ম্যাচ ওয়ানডেতে নিষিদ্ধ হন গিবস। আপিল করে শাস্তি এড়াতে না পারলেও সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে খেলার অনুমতি পেয়েছিলেন ৪৫ বছর বয়সী সাবেক এ ব্যাটসম্যান।

গিবসের রি-টুইট। ছবি: গিবসের টুইটার পেজ
গিবসের রি-টুইট। ছবি: গিবসের টুইটার পেজ

পাকিস্তানের সমর্থকদের ওই আচরণ নিয়ে গিবস এবারই প্রথম মুখ খোলেননি। নিজের আত্মজীবনী ‘টু দ্য পয়েন্ট’ বইয়ে গিবস জানিয়েছেন, পাকিস্তানের সমর্থকদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা বিরক্ত হয়েছিল। আত্মজীবনীতে গিবসের ভাষ্য ছিল, ‘সব ক্রিকেটার ভীষণ বিরক্ত হয়েছিল। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বিরক্তি প্রকাশ ধরা পড়ে মাইক্রোফোনে। আপনারা আমাকে যা খুশি বলতে পারেন, তবে মুসলিমদের প্রতি বর্ণবাদী কথা বলাটা বোধ হয় একটু বেশি হয়ে যায়। ঈশ্বরের দোহাই লাগে, আমি শ্বেতাঙ্গ নই। আমার চারজন মুসলিম খালা এবং ১০জন ভাই আছে।’

পাকিস্তানে তিন দফা সফরের প্রথম দফায় তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। লাহোরে পরশু গড়াবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। পরের দুটি ম্যাচও লাহোরেই। ঘরের মাঠে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে পাকিস্তানের সমর্থকেরা কেমন আচরণ করে, এখন সেটিই দেখার বিষয়।