আউট করার আনন্দে সরে গেল বোলারের চোয়ালের হাড়

হাসপাতালে জ্যাডেন রেগান। ছবি: মেইল অনলাইন
হাসপাতালে জ্যাডেন রেগান। ছবি: মেইল অনলাইন
>

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানকে আউট করার আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে এক ক্রিকেটারের চোয়ালের হাড় স্থানচ্যূত হয়। পরে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন মাঠে।

‘উদ্দেশের দৃঢ়তা?’

কথাটা ‘নাথুনির মা’ ছোট গল্পে ব্যবহার করেছিলেন ‘বনফুল’ নামে খ্যাত লেখক বলাই চাঁদ মুখোপাধ্যায়। সে গল্পে নাথুনির মা তাঁর পুত্রবধূকে ‘পোড়ামুখী’ গালি দিতে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েছিলেন। চোয়ালের হাড় স্থানচ্যূত হওয়ায় তাঁর হাঁ করা মুখ বন্ধ হচ্ছিল না। চিকিৎসকের সাহায্য নিয়ে বাঁচতে হয়। এবার বাস্তবে কাছাকাছি একটা ঘটনা ঘটল অস্ট্রেলিয়ায়। প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানকে আউট করে বুনো উদ্‌যাপন করতে গিয়ে হাস্টিংস ক্রিকেট ক্লাবের বোলার জ্যাডেন রেগানের চোয়ালের হাড়ও স্থানচ্যূত!

অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে শনিবার ড্রোমানার মুখোমুখি হয়েছিল হাস্টিংস। ড্রোমানা দলের ব্যাটসম্যান জেফ ব্লামকে ৯৯ রানে আউট করেন হাস্টিংস অধিনায়ক রেগান। মেইল অনলাইন ও অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আউটটি উদ্‌যাপন করতে গিয়ে ব্যথায় মুষড়ে পড়েন রেগান। হাঁ করা মুখটা আর বন্ধ করতে পারছিলেন না। চোয়ালের হাড় স্থানচ্যূত হওয়ায় কাতরাচ্ছিলেন ব্যথায়। তখন মাঠ থেকেই দ্রুত স্থানীয় হাসপাতালে রোজবাডে নিয়ে যাওয়া হয় রেগানকে।

মেইল অনলাইন জানিয়েছে, ব্লামকে আউট করে ‘ইয়েহ’ বলার পর ‘ফাইনালি’ উচ্চারণ করতে গিয়ে রেগানের চোয়ালের হাড় স্থানচ্যূত হয়। তাঁর ভাষায়, ‘বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম এবং একটু বেশিই উদ্‌যাপন করতে গিয়ে চোয়ালের হাড় জায়গা থেকে সরে যায়। হাসপাতালে পৌঁছেও চেঁচিয়েছি। চিকিৎসক আমার মুখের ভেতর নিচে হাত রেখে হাড়টা জায়গামতো পুনঃস্থাপন করেন।’

‘নাথুনির মা’ গল্পেও চিকিৎসক তাঁর মুখের ভেতর হাত ঢুকিয়ে নিচের চোয়ালের হাড় জায়গামতো পুনঃস্থাপন করেন। চিকিৎসক তাঁর মুখ থেকে আঙুল বের করা মাত্রই নাথুনির মা গালির বাকি শব্দটা বলে দেন—‘মুখী!’ উদ্দেশের দৃঢ়তা আরকি! তবে রেগান কিন্তু এমন কিছু করেননি। হাড়টা জায়গামতো বসিয়েই ফিরেছেন মাঠে। সতীর্থদের সঙ্গে উদ্‌যাপন করেছেন দলের জয়। আর বিয়ারের ক্যান নিয়ে ব্লামের সঙ্গে বসে দুজনে হেসেছেন একচোট।