ঢাকা এসে 'ভীষণ খুশি' সিজার

বিমানবন্দরে জুলিও সিজার। ছবি: প্রথম আলো
বিমানবন্দরে জুলিও সিজার। ছবি: প্রথম আলো

২০১১ সালে বিশ্ব ফুটবলের মহাতারকা লিওনেল মেসির ঢাকা আসার স্মৃতিটা এখনো অমিলন। সে বছর আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসি খেলে গেছেন নাইজেরিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ। তারও আগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শুভেচ্ছা সফরে ঢাকা ঘুরে যান জিনেদিন জিদান। আজ ঢাকায় এলেন আরেক আন্তর্জাতিক ফুটবল তারকা জুলিও সিজার। ব্রাজিলের সাবেক গোলরক্ষক ঢাকায় এসেছেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে জৌলুস বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে। সিজারকে ঢাকায় পাঠিয়েছে ফিফা।

বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জুলিও সিজার বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এটি আমার প্রথম সফর। এ দেশের ফুটবল সম্পর্কে বেশি কিছু জানি না। এখানে এসেছি যখন, কিছু জানতে পারব নিশ্চয়ই। এখানে এসে আমি ভিষণ খুশি।’ অন্য এক প্রশ্নে বলেন, ‘ব্রাজিল বিশ্ব ফুটবলে এক পরাশক্তি। রোনালদিনহো, কাকাদের মতো ফুটবলারদের নাম বলতে পারি, যাঁরা খুবই জনপ্রিয়। এমন ফুটবলার আমাদের আরও আছে।’

আগামীকাল রাজধানীর বাড্ডায় বাফুফের একাডেমিতে যাবেন সিজার। সেখানে প্রশিক্ষণরত নবীন গোলরক্ষকদের পরামর্শ দেবেন। নারী ফুটবল দলের অনুশীলনেও থাকবেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করার কথা রয়েছে তাঁর। সব কর্মসূচি শেষে আগামীকালই ফিরে যাবেন সিজার।

সিজার ক্লাব ক্যারিয়ারে ফ্লামেঙ্গো, ইন্টার মিলান, বেনফিকার হয়ে খেলেছেন। ২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতেন ইন্টারের হয়ে। ২০১০ সালে ক্লাব বিশ্বকাপসহ জিতেছেন অনেক শিরোপা। ব্রাজিলের হয়ে দুটি কনফেডারেশন কাপ ও একটি কোপা আমেরিকা জয়ের স্মৃতি আছে তাঁর। সিরি ‘এ’ সেরা গোররক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন টানা দুবার। ব্রাজিলের হয়ে ৮৭ ম্যাচ খেলেছেন। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে উড়ে যাওয়া সেই ম্যাচে গোলরক্ষক ছিলেন সিজার।

এর আগে ব্রাজিল তারকার ঢাকা আসার খবর দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছিলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপকে ভিন্নমাত্রা দিতে চাইছি। এ কারণে বিশ্ব ফুটবলের বড় তারকাকে ঢাকায় আনার উদ্যেগ নিই প্রথমবারের মতো। আশা করছি জুলিও সিজারের সফরের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আরও আকর্ষণীয় হবে।’