মালিকের কাছে যা বারবার শুনেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা

কদিন আগে বিপিএল খেলে গেছেন শোয়েব মালিক। ছবি: প্রথম আলো
কদিন আগে বিপিএল খেলে গেছেন শোয়েব মালিক। ছবি: প্রথম আলো

১৯৪৭ সালে যদি দেশ ভাগ না হতো, যদি শুধুই অবিভক্ত ভারতবর্ষ থাকত এবং আর পুরো ভারতবর্ষ যদি এখন একটা দল হয়ে ক্রিকেট খেলত, সেই দলের অধিনায়ক কে হতো? আড্ডায় শোয়েব মালিকের কাছে প্রশ্ন ছিল বিপিএলে তাঁর বাংলাদেশি সতীর্থদের। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার দুবার না ভেবে বলেছেন বিরাট কোহলিই সে দলের অধিনায়ক হতো।

এবার তাঁর রাজশাহী রয়্যালসের সতীর্থদের প্রশ্ন, ‘ওই দলের মিডলঅর্ডারে জায়গা পেতে আপনার নিশ্চয়ই বেগ পেতে হতো? এখন ভারতীয় দলেই দুর্দান্ত সব ব্যাটসম্যান!’ মালিকের উত্তর, ‘জাতীয় দলে না খেলতে পারলেও অসুবিধা হতো না। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেই কোটি টাকা আয় করা যেত!’ আড্ডায় কত হালকা প্রসঙ্গেই তো আলোচনা হয়। আড্ডার মধ্যেও যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বারবার করেছেন মালিককে—পাকিস্তানে খেলার পরিবেশ কেমন? পাকিস্তান কতটা নিরাপদ?

আজ লাহোরে পাকিস্তানি সাংবাদিকেরাও জানতে চেয়েছেন, বিপিএল খেলার সময় বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা নিশ্চয়ই জানতে চেয়েছেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা নিয়ে; এটা নিয়ে কী বলেছেন মালিক। পাকিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার বললেন, ‘শুধু বাংলাদেশ না, যে লিগেই যাই না কেন আমাদের চেষ্টা থাকে সবাইকে বোঝাতে। ওরা আমাদের অনেক প্রশ্ন করে। বাংলাদেশ খেলোয়াড়েরা একই কথা জিজ্ঞেস করেছে। আমরা বলেছি, অবশ্যই তোমরা আসো। অনেক উপভোগ করবে। এখানকার নিরাপত্তা খুবই ভালো। সবাই খুব ভালো আথিতেয়তা দেবে। যে আসবে না, সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। তবে অনুরোধ, একবার যদি এখানে কেউ আসে, পরেরবার আসতে আর দ্বিধা থাকবে না। বাংলাদেশ এসে যে পরিবেশ দেখবে, নিরাপত্তা দেখবে, পরেরবার যে আসেনি, তাকে বাকিরা নিশ্চিত বোঝাবে। ’

যেহেতু বিপিএল খেলে গেছেন, বাংলাদেশ দল সম্পর্কে খুব ভালো জানাশোনা মালিকের। সেই অভিজ্ঞতা থেকে খানিকটা বললেনও, ‘ওদের দলে তরুণ ও অভিজ্ঞের ভালো মিশ্রণ আছে। সময়ের সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সিস্টেম আরও শক্তিশালী হয়েছে।’