'বন্দিদশা'র ইতিবাচক দিক দেখছেন মাহমুদউল্লাহ

সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত গাদ্দাফি স্টেডিয়াম যেন দুর্গ হয়ে উঠেছে। কাল দুপুরে লাহোরে। ছবি: এএফপি
সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী পরিবেষ্টিত গাদ্দাফি স্টেডিয়াম যেন দুর্গ হয়ে উঠেছে। কাল দুপুরে লাহোরে। ছবি: এএফপি
>পাকিস্তানে রীতিমতো ‘বন্দী’ থাকতে হবে খেলোয়াড়দের। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে চলতে হবে সৈন্যসামন্ত নিয়ে। কিন্তু এমন ‘বন্দিদশা’রও ভালো দিক দেখছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ

লাহোরের পা রেখে সৈন্যসামন্ত নিয়ে চলতে হবে—এমনটা জানাই। কিন্তু এখানে যাওয়া যাবে না, এই করা যাবে না, সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা না হয় রেঞ্জার্সের সৈনিকেরা ঘুরবে—এমন পরিবেশ কি ক্রিকেটের জন্য উপযোগী? অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ মনে করেন, বন্দিদশাও মাঝেমধ্যে ইতিবাচক হতে পারে দলের জন্য।

ছোট একটা ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এমন পরিবেশে দলের সদস্যরা একসঙ্গে সময় কাটাতে পারে। এভাবে যদি দেখেন, তাহলে এটা দলের জন্য ইতিবাচক।’

অধিনায়ক অবশ্য বলেছেন পাকিস্তানে যে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে খেলতে হবে, সেটা দেশে থাকতেই জেনে এসেছেন তাঁরা, ‘আমরা যখন পাকিস্তানে আসার জন্য বিমানে উঠেছি অথবা বোর্ড থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আমরা এখানে খেলব, তখন থেকেই আমরা বদ্ধ পরিবেশে কিনা কিংবা কোন পরিবেশে খেলব, এসব আর ভাবছি না। আমার মনে হয়, এখানে এসে ওই ধরনের চিন্তাভাবনা থেকে সরে আসাই ভালো। দলের প্রত্যেক খেলোয়াড় সেভাবেই চিন্তা করছে। আমরা শুধুই এখানে ভালো খেলার জন্য এসেছি আর সবাই ভালো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি।’

কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য সম্প্রতি কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে খেলার ইতিবাচক দিকের কথা বলেছেন। কিছুটা আবদ্ধ পরিবেশ, যেখানে সারাক্ষণ নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে থাকতে হয়, সেখানে দল অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে পারে। এমন ‘বন্দিদশা’য় দলের ফাঁকফোকরগুলো ঝালাই করে নেওয়ার সুযোগটা অনেক বেশি করে তৈরি হয়, ‘অনেক সময় এমন বদ্ধ পরিবেশে একসঙ্গে থাকাটা দলের জন্য ভালো হতে পারে। এটা দলের ফাঁকফোকরগুলোকে ঝালাই করে দিতে পারে। এমন পরিবেশ দলের মধ্যে ঐক্য ও যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।’