প্রথম শ্রেণির ম্যাচে কী আকর্ষণ নিয়ে আসছে বিসিবি

>জাতীয় লিগের পর বিসিএলেও কিছু নতুন আকর্ষণ আনতে চাইছে বিসিবি। কী কী আকর্ষণ আনা যেতে পেরে সেটি নিয়েই আজ বৈঠকে বসেছিল বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি।
২০১২-১৩ বিসিএলের ফাইনালে গোলাপি বলে সানজামুল ইসলাম পেয়েছিলেন ৮ উইকেট। ছবি: প্রথম আলো
২০১২-১৩ বিসিএলের ফাইনালে গোলাপি বলে সানজামুল ইসলাম পেয়েছিলেন ৮ উইকেট। ছবি: প্রথম আলো

কদিন আগে ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে কত আলোচনা। বাংলাদেশ গোলাপি টেস্ট খেলতে নেমে গেল কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই। এবার অবশ্য বিসিবি চাইছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একটি ম্যাচ অন্তত গোলাপি বল খেলতে। আর সেটি হতে পারে এই বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনালে।

বাংলাদেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিসিএলের অষ্টম পর্ব শুরু ৩১ জানুয়ারি। টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিসিবি। ফাইনাল ম্যাচটি হতে পারে গোলাপি বলে। আজ বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান গাজী গোলাম মুর্তজা অবশ্য ব্যক্তিগত কারণে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর অনুরোধে বৈঠক পরিচালনা করেছেন বিসিবির পরিচালক প্রধান খালেদ মাহমুদ। টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠকে ছিলেন বিসিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম। তিনিই জানালেন, ক্রিকেটাররা চাইলে বিসিএলের ফাইনাল ম্যাচটি হতে পারে গোলাপি বলে, ‘খেলা গোলাপি বলে হতে পারে কিনা, এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এটার ব্যাপারে ক্রিকেটারদের জিজ্ঞেস করবে। যদি খেলোয়াড়দের কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে হয়তো ফাইনাল দিবারাত্রির হতে পারে।’

২০১৩ বিসিএলের ফাইনালও হয়েছিল গোলাপি বলে। গোলাপি বল তো আছেই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বিসিএলের ফাইনাল সরাসরি সম্প্রচার হতে পারে বলে জানালেন খালেদ মাহমুদ, ‘আমরা খেলা সরাসরি দেখানোর ব্যাপারে কথা বলেছি। এটা করতে পারলে তাদের (ফ্র্যাঞ্চাইজি) ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক ভালো হবে। এটা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একটা ম্যাচও যদি আমরা টিভিতে দেখাতে পারি, বিশেষ করে ফাইনাল, সেটাও একটা বড় ব্যাপার হবে।’

গত বছর ক্রিকেটারদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিসিবি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ম্যাচ ফি, ভ্রমণভাতা ইত্যাদি বাড়িয়েছে। এবার বিসিএলে যদি গোলাপি বল এবং লিগের ফাইনাল সরাসরি সম্প্রচার করা হয় নিঃসন্দেহে প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটের আকর্ষণ বাড়বে।

এই বিসিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে থাকছে না প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড। ইসলামি ব্যাংক ও ওয়ালটন আছে বাকি দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে। গত সাত মৌসুম দক্ষিণাঞ্চল দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি ছিল প্রাইম ব্যাংক। এবার প্রাইম ব্যাংক না থাকায় দক্ষিণাঞ্চল দলটি পরিচালনা করবে বিসিবি। আর আগে থেকেই উত্তরাঞ্চল দলটি পরিচালনা করে আসছে বিসিবি।