লাহোরেও তামিম-নাঈমের বিপিএল-ব্যাটিং

>
উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম
উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি তামিম

বিপিএলের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও শ্লথ ব্যাটিং করেছেন বাংলাদেশ দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম।

দুই বাঁহাতি ক্রিজে। তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈমদের সামনে নিশ্চয়ই অফ স্পিন লেলিয়ে দেবেন পাকিস্তান অধিনায়ক। থামিয়ে দেবেন হাত খুলে খেলার সুযোগ। দলে আছেন শোয়েব মালিক, যিনি কদিন আগেই খেলে গেছেন বিপিএলে। তামিম-নাঈমদের খুব ভালো করেই চেনা এই পাকিস্তানির। কিন্তু বাবর আজম যা করলেন, তাতে অবাক হওয়ারই কথা। দুই বাঁহাতির সামনে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে বল তুলে দিলেন কিনা বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের হাতে!

আরও অবাক করা ব্যাপার, তামিম-নাঈমের কেউই বাঁহাতি স্পিনে হাত খুলে খেললেন না! পেস বোলিংয়ের সামনেও তাই করলেন, খেললেন ওয়ানডে মেজাজে। লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশি ওপেনাররা ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে করেন মাত্র ৩৫। যার প্রতিচ্ছবি স্কোরবোর্ডে। ২০ ওভার শেষে হাতে ৫ উইকেট নিয়েও বাংলাদেশ করল মাত্র ১৪১ রান।

রানের গতি বাড়েনি পাওয়ার প্লের পরও। ৭১ রানের ওপেনিং জুটি হয় ১১ ওভারে। প্রচুর বল খেলে উইকেটে থিতু হলেও ইনিংস লম্বা হয়নি কোনো ওপেনারের। ৩৪ বলে ৩৯ রান করে রান আউট হন তামিম, ৪১ বলে ৪৩ রান করে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন নাঈম।

টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একই সঙ্গে দুই ওপেনারের মন্থর ব্যাটিং মেনে নেওয়া কঠিন। তার ওপর থিতু হয়েও দুজনের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। গত বিপিএলেও এই দুই ওপেনার ঠিক এ রকম গতিতেই রান তুলেছেন। ঢাকা প্লাটুনের হয়ে তামিম ইকবাল ১২ ইনিংসে মাত্র ১০৯.৩৯ স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৯৬ রান। রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে নাঈম ১২ ইনিংসে ১১৫.৪৩ স্ট্রাইক রেটে করেন ৩৫৯ রান। বিপিএলের ব্যাটিংটাই যেন লাহোরে করলেন দুই বাঁহাতি ওপেনার!