টি টোয়েন্টি ক্রিকেটর জন্য রান তাড়া এত সোজা

জয়ের পর সতীর্থকে জড়িয়ে ধরলেন শ্রেয়াস। ছবি: এএফপি
জয়ের পর সতীর্থকে জড়িয়ে ধরলেন শ্রেয়াস। ছবি: এএফপি
>অকল্যান্ডে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ভারত

শেষ ১২ বলে দরকার ১৮ রান। উইকেটে শ্রেয়াস আয়ার ও মণীশ পাণ্ডে। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে চার ও ছয়ের ব্যাটসম্যান। বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ পেসার টিম সাউদি। এখান থেকে স্বাভাবিক ভাবনা হলো, ম্যাচটা গড়াবে শেষ ওভারে। ভুল। ঘর কিংবা ঘরের বাইরে, ভেন্যু যেখানেই হোক না কেন ইদানীং ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য রান তাড়া করা যেন ছেলের হাতের মোয়া! আয়ারের দুই ছক্কা ও এক চার মিলিয়ে এক ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জিতল ভারত।

এর আগে নিউজিল্যান্ডও কিন্তু কম রান তোলেনি। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কলিন মানরো, কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরের ফিফটিতে ২০৩ রান। উইকেট যেমনই হোক টি-টোয়েন্টিতে দুই শ-র বেশি রান তাড়া এমনিতেই চ্যালেঞ্জ। তারপরও অকল্যান্ডের পেসবান্ধব উইকেটে তিন পেসারের বিপক্ষে কিছু বুঝতে না দিয়েই ম্যাচ জিতে নিলেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা। ২৯ বলে ৫৮ রান করা আয়ার ম্যাচ শেষ করে এলেও ইনিংসের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুল। দলীয় ১৪ রানে রোহিত শর্মা (৭) ফিরলে জুটি বাঁধেন দুজন। বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে গড়েছেন ৫১ বলে ৯৯ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৩৬ রানে ২ উইকেট ইশ সোধির।

কোহলি-রাহুল জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দেওয়ার পর শেষ কাজটা সেরেছেন আয়ার-পাণ্ডে জুটি। পঞ্চম উইকেটে দুজনের ৩৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৬২ রানের জুটিতে জিতেছে ভারত। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কোহলির দল। এর আগে নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে ৪২ বলে ৫৯ রান করেন মানরো। ২৬ বলে ৫১ রান উইলিয়ামসনের। শেষ দিকে টেলরের ২৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে দুই শ পার হয় নিউজিল্যান্ডের। ভারতের হয়ে ৩১ রানে ১ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা।