তামিমদের দোষ দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ

আজ লাহোরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এভাবেই হতাশ করেছেন। ছবি: বিসিবি
আজ লাহোরে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা এভাবেই হতাশ করেছেন। ছবি: বিসিবি
>বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা আজ এগিয়েছেন মন্থরগতিতে, কারও ইনিংস ছিল না টি–টোয়েন্টিসুলভ। মাহমুদউল্লাহ তবুও দায় দেখছেন না ব্যাটসম্যানদের।

লাহোরে আজ সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টি হারের পর বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতাই বড় করে দেখা হচ্ছে। তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাঈম কিংবা লিটন দাসের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সরগরম। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য তাঁর সতীর্থ ব্যাটসম্যানদের আগলে রাখছেন।

আজ তামিম–নাঈমের ওপেনিং জুটি এনে দিয়েছে ৭১ রান। স্কোর দেখে মনে হচ্ছে কত ভালো শুরুই না পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই ৭১ রান তুলতে দুই ওপেনার খেলেছেন ৬৬ বল। তামিম–নাঈম এতটাই মন্থরগতিতে এগিয়েছেন, পাওয়ার প্লে কাজেই লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ৩৬ বলের ২২টিই ডট বল খেলেছেন তামিম–নাঈম।

যার অর্থ, প্রথম ৬ ওভারের প্রায় ৪ ওভার বাংলাদেশ কোনো রানই করতে পারেনি। বাংলাদেশের পুরো ইনিংসে ডট বল ছিল ৪৫টি। হাতে উইকেট রেখে ইনিংসের মাঝপথে যখন রানের গতি বাড়িয়ে নেওয়ার কথা, তখনও ব্যর্থ হয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। শেষ ওভারে ১৩ রান না উঠলে ১৪০ রানও তো হতো না।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে হারের পেছনে তবুও ব্যাটসম্যানদের দায় দেখছেন না মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বরং বড় করে দেখছেন উইকেটের চরিত্রকে, ‘আমরা পাওয়ার প্লেতে যেভাবে ব্যাটিং করেছি, এটা ঠিকই ছিল। তামিম আর নাঈম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। যখন বল ধীরে ধীরে পুরোনো হচ্ছিল, পিচ একটু অন্য রকম আচরণ করছিল। এটা পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটে গিয়েই বড় শট খেলা কঠিন ছিল। আমার মনে হয় আমরা এই জায়গায় পিছিয়ে গেছি। ১০–১৫টা রান এখানে কম হয়েছে। আমি যদি আরেকটু ভালোভাবে শেষ করতে পারতাম…।’

ব্যাটিংয়ে দায় না দেখলেও মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় উঠবেন ফিল্ডাররা, ‘১৪০ (১৪১) করেও যে আমরা শেষ ওভার পর্যন্ত যেতে পেরেছি, এটা বোলারদের চেষ্টার কারণে। বোলাররা ভালো বোলিং করলেও কিছু কিছু জায়গায় যেমন—লেগ সাইডে কয়েকটা সহজ চার দিয়ে ফেলেছি। এখানে আমরা আরেকটু ভালো করতে পারতাম। আমাদের ফিল্ডিংটা যদি একটু ভালো হতো, হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হতেও পারত।’

মাহমুদউল্লাহ ঘুরেফিরে উইকেটের রহস্যময় চরিত্রের কথাই বললেন। তিনি নিজেও আশা করেননি এমন উইকেট পাবেন। মন্থর উইকেটে বল পুরোনো হলে ব্যাটে আসছিল না। ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দে রান তুলতে পারেননি। মাহমুদউল্লাহ বাজে ফিল্ডিংয়ের প্রসঙ্গও আনলেন সামনে। কিন্তু পাকিস্তানের শুরুও খুব একটা ভালো হয়নি। তারাও পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারেনি। বাংলাদেশ বড় লক্ষ্য দিতে পারেনি বলে তবুও সেটি চাপ হয়ে দাঁড়ায়নি!

এই হার নিয়ে অবশ্য বাংলাদেশের বসে থাকার উপায় নেই। কাল একই মাঠে খেলতে হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টি। সিরিজ বাঁচাতে হলে এ ম্যাচ জিততেই হবে বাংলাদেশের। মাহমুদউল্লাহ তাই বলছেন, ‘পরের ম্যাচে আমাদের ফিরে আসতে হবে।’