কাল একাদশে কয়টি পরিবর্তন আনছে বাংলাদেশ

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মোস্তাফিজকে বসিয়ে রাখতে পারেন রাসেল ডমিঙ্গো। ছবি: প্রথম আলো
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে মোস্তাফিজকে বসিয়ে রাখতে পারেন রাসেল ডমিঙ্গো। ছবি: প্রথম আলো
>

লাহোরে কাল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিরিজ আগেই হেরে বসায় তৃতীয় ম্যাচে দলে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো

হাসান মাহমুদের তাহলে কালই অভিষেক?

বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর কথায় ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। গতকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে দলে পরিবর্তন আনার কথাটা সরাসরিই বলেছেন কোচ। সিরিজে আগের দুই ম্যাচে তেমন ভালো করতে পারেননি মোস্তাফিজুর রহমান। কাল তৃতীয় ম্যাচে তাঁর বাদ পড়াটা তাহলে মোটামুটি নিশ্চিত? ম্যাচের দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত এ প্রশ্নবোধক চিহ্নটি আনুষ্ঠানিক কারণেই রাখতে হচ্ছে। এ দুই ম্যাচে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স কোনোভাবেই তাঁর পক্ষে নেই।

লাহোরে দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে তৃতীয় ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন ডমিঙ্গো। দক্ষিণ আফ্রিকান এ কোচের জবাব, ‘সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। আমরা ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পিছিয়ে। তিন খেলোয়াড় এখনো সুযোগ পায়নি, তারা অবশ্যই দলে আসবে এবং আমরা আরও পরিকল্পনা করব।’

কোচের এ মন্তব্যের পর একটি খটকা লাগতেই পারে। সাধারণত দেখা যায় এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজজয়ী দল শেষ ম্যাচে দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকে। পরখ করে দেখা হয় বেঞ্চের শক্তি। কিন্তু বাংলাদেশ কোচ তো সে অবস্থানে নেই। ধবলধোলাই এড়াতে যেকোনো কোচ তো দলের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়েই নামতে চাইবেন মাঠে। প্রথম দুই ম্যাচে কি তাহলে সেরা একাদশ নামানো হয়নি?

১৫ সদস্যের দল নিয়ে পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে দলের বাইরে থাকা তিন ক্রিকেটার—ওপেনার নাজমুল হোসেন এবং দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও রুবেল হোসেন। আগের দুটি ম্যাচেই তিনজন করে পেসার খেলিয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট—মোস্তাফিজ, শফিউল ও আল-আমিন। এর মধ্যে মোস্তাফিজের পারফরম্যান্স সবচেয়ে বাজে। প্রথম ম্যাচে তাঁর বোলিং ফিগার ৪-০-৪০-১। পরের ম্যাচে ৩-০-২৯-০। দেদারসে রান বিলোচ্ছেন ‘ডেথ ওভার’-এ দেশসেরা খ্যাত এ পেসার।

হাসান মাহমুদ। খেলতে পারেন তৃতীয় ম্যাচে। ছবি: প্রথম আলো
হাসান মাহমুদ। খেলতে পারেন তৃতীয় ম্যাচে। ছবি: প্রথম আলো

ডমিঙ্গোর কথা অনুযায়ী, কাল শেষ ম্যাচে মোস্তাফিজের জায়গায় দলে দেখা যেতে পারে হাসান মাহমুদকে। বিপিএলে গতি দিয়ে আলোচনায় উঠে আসা ২০ বছর বয়সী এ পেসার জাতীয় দলের হয়ে এখনো অভিষেকের অপেক্ষায়। সিরিজে দুই ম্যাচে খেলা বাকি দুই পেসারের মধ্যে প্রতিযোগিতাটা হতে পারে, বসবেন কে! প্রথম ম্যাচে শফিউল ২৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছিলেন, প্রথম ওভারেই তুলে নিয়েছিলেন বাবর আজমকে। পরের ম্যাচে একটু খরুচে বোলিং (৩-০-২৭-১) করলেও শুরুতে (ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার) মানে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট এনে দিয়েছিলেন শফিউল।

আল-আমিন প্রথম ম্যাচে রান দেওয়ায় ছিলেন সবচেয়ে কিপটে (৪-০-১৮-১)। পরের ম্যাচে রান দেওয়ায় কিপটেমির দিক থেকে দ্বিতীয় (৩-০-১৭-০)। কিন্তু ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি এ পেসার। ধবলধোলাই হওয়া এড়াতে আরেকটু ভালো যে করতেই হবে। এ কারণে রুবেল হোসেনকে দলে দেখা গেলে সেটি আল-আমিনের জায়গায় হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

বিপিএলে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটের ওপেনার নাজমুল হোসেনকে দেখা যেতে পারে মোহাম্মদ নাঈমের জায়গায়। তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে দুই ম্যাচে তাঁর স্কোর যথাক্রমে ৪৩ ও ০। নাঈমকে ধরে রাখতে চাইলে দ্বিতীয় ম্যাচে তিনে নামা মেহেদীর জায়গাতেও নাজমুলকে খেলাতে পারেন ডমিঙ্গো। প্রথম ম্যাচে খেলা মোহাম্মদ মিঠুনকে বসিয়ে মেহেদীকে দলে টেনেছিলেন ডমিঙ্গো। যদিও প্রথম ম্যাচে ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন মিঠুন। কাল তাঁর বদলে দলে ঢুকে ১২ বলে ৯ রান করে আউট হন মেহেদী।