কর কমাতে বলবেন ইতিহাসে নাম লেখানো আরব নারী

ইতিহাস গড়েছেন জাবির। ছবি: রয়টার্স
ইতিহাস গড়েছেন জাবির। ছবি: রয়টার্স

টেনিসে ইতিহাস গড়েছেন দুদিন আগেই। প্রথম আরব নারী হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন ওনস জাবির। সে উপলক্ষে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব মানুষের কাছাকাছি যেতে পেরেছেন এ কদিনে। স্বয়ং তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট ফোন করেছেন তাঁকে। দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তির কাছে কিছু চাইবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে চমকে দিয়েছেন জাবির। বলেছেন, সম্ভব বলে কর কমানোর কথা বলবেন প্রেসিডেন্টকে।

বিশ্বের ৭৮ নম্বর খেলোয়াড় জাবির এর আগে কোনো গ্র্যান্ড স্লামে চতুর্থ রাউন্ডেও খেলেননি। এবারই প্রথমবার তৃতীয় রাউন্ডের বাঁধা পেরোলেন। এবং সে ধাপ পার করে ২৫ বছর বয়সী চলে গিয়েছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালেও। গ্র্যান্ড স্লামের ইতিহাসে তিউনিসিয়া তো বটেই, আরবের প্রথম নারী হিসেবে শেষ আটে উঠেছেন। এর পর প্রশংসা বৃষ্টিতে ভাসাই স্বাভাবিক, ‘তিউনিসিয়া থেকে আমাকে অনেকেই ফোন করেছে। আমার ফোনে এখনো কল আসছে। আমি তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও কথা বলেছি। আমাকে ফোন করেছিলেন তিনি এবং শুভকামনা জানিয়েছেন। তাঁর এমন আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে।’

প্রেসিডেন্টের শুভকামনাতেও লাভ হয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের সোফিয়া কেনিনের কাছে ৬-৪, ৬-৪ গেমে হেরে গেছেন। তবু মানুষের ভালোবাসায় কমতি নেই, ‘দেশের অনেক রাজনৈতিকের সঙ্গেও কথা হয়েছে। সবাই যেন পাগল হয়ে গেছে। অনেকেই আমাকে ফোন করেছে এবং শুভকামনা জানিয়েছে। এখনো (হারার পরও) আমাকে খুব ভালো ভালো বার্তা পাঠাচ্ছে, বলছে তারা কত গর্বিত।’

দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব লোকের সান্নিধ্য পাচ্ছেন যখন, সাধারণ মানুষের কিছু দাবি দাওয়া তো জানানোর সুযোগ নিশ্চয় পেয়েছেন জাবির। তাঁকে তাই জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, যদি প্রেসিডেন্টের কিছু কিছু চাইতে বলা হয় তখন কী বলবেন? তাৎক্ষণিকভাবে একটি কথাই মাথায় এসেছে জাবিরের, ‘আমি জানি না, হয়তো কর কমানো একটা ভালো কাজ হতে পারে। আমি রাজনীতি নিয়ে খুব বেশি বলতে চাই না কারণ আমি সম্ভবত এতে ভালো হব না।’