'কুফা' কাটাতে যা করতে হয়

জো রুট ও মার্ক উড। ছবি: স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট টুইটার পেজ
জো রুট ও মার্ক উড। ছবি: স্কাই স্পোর্টস ক্রিকেট টুইটার পেজ
>জোহানেসবার্গ টেস্টে ইংল্যান্ডের জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন পেসার মার্ক উড। এর পেছনে রয়েছে মজার এক বিশ্বাস

শচীন টেন্ডুলকার বাঁ পায়ের প্যাড আগে পরতেন। ব্যাটিংয়ে দাঁড়ানোর আগে প্যাড ও হেলমেট পরখ করে নিতেন সনাথ জয়াসুরিয়া। পকেটে লাল রুমাল রাখতেন স্টিভ ওয়াহ। মাহেলা জয়াবর্ধনেও দাঁড়ানোর আগে চুমু খেতেন ব্যাটে। এসবই ক্রিকেটারদের অদ্ভুত বিশ্বাসের কথা। কুসংস্কার কিংবা উদ্ভট বিশ্বাস যাই ভাবুন না কেন, ক্যারিয়ারজুড়ে এসব মেনেই কিন্তু তাঁরা সফল। তার প্রমাণ রেকর্ড-পরিসংখ্যান। তাই ক্রিকেটারদের অদ্ভুত সব বিশ্বাসকে হেলায় উড়িয়ে দেওয়ার কিছু নেই। এরই আরেক নজির দেখালেন জো রুট ও মার্ক উড।

ভালো সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে ক্রিকেটাররা অনেক কিছুই পাল্টাতে চান না। ভেবে নেন, একইভাবে চালিয়ে গেলে মাঠের সাফল্যও কমবে না। ২০১১ বিশ্বকাপে রবিচন্দ্রন অশ্বিন যেমন দলের সব ম্যাচে কালো রঙের ব্যাগ টেনেছেন। ভারত সে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। সে যাই হোক, রুট-উডের প্রসঙ্গে ফেরা যাক। জোহানেসবার্গ টেস্টে কাল চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৯১ রানে হারায় ইংল্যান্ড। দুই ইনিংস নিয়ে ১০০ রানে ৯ উইকেট শিকার করেন ইংলিশ পেসার উড। এর মধ্যে প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে নেন ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ রানে ৪ উইকেট। উডের এ সাফল্যের পেছনের গল্পটা বলেছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক রুট।

প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার আগের রাতে রুটের হোটেল কামরায় একসঙ্গে রাতের খাবার খেয়েছেন দুজন। পরদিন মাঠে ভালো করার পর পাল্টায়নি রাতের খাবারের মেন্যু, ভেন্যু ও সঙ্গী। অর্থাৎ টেস্টের ফল হওয়া পর্যন্ত রুটের কামরাতে রাতে একই মেন্যুর খাবার খেয়েছেন দুই ক্রিকেটার। উডের সাফল্য নিয়ে কথা বলার সময় ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমকে জানান ইংল্যান্ড অধিনায়ক, ‘সে এ সপ্তাহে আমার হোটেল বিল বাড়িয়েছে, কারণ আমার কামরায় খাবার খাওয়ার পর ৫ উইকেট পেয়েছে। এরপর আমরা ম্যাচের বাকি সময় পর্যন্ত প্রতিদিন রাতেই তার পুনরাবৃত্তি করেছি।’

রুট-উড রাতে কী খাবার অর্ডার করেছিলেন? এ নিয়ে রুটের কৌতুক, ‘বলতে পারব না। আমাদের পুষ্টিবিদ হয়তো আশপাশেই আছে। সে (উড) ভালো ছেলে। সম্ভবত স্প্যাগবোল (স্প্যাগেটি বোলোনিজ) অর্ডার করেছিল। হয়তো একটা বার্গার।’