ভাড়া করা বিমানে আর নয় পাকিস্তানে

কাল রাতে দেশে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। ছবি: বিসিবি
কাল রাতে দেশে ফিরেছেন ক্রিকেটাররা। ছবি: বিসিবি
টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে গিয়েছিল ভাড়া করা বিমানে। এবার সিদ্ধান্ত বদলেছে বিসিবি ।


টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল ঢাকা–লাহোর–ঢাকা যাওয়া–আসা করেছে ভাড়া করা উড়জাহাজে (চাটার্ড ফ্লাইট)। বিসিবির এ সিদ্ধান্ত ভালোই আলোচনার খোরাক জুগিয়েছিল। তবে আগামী মাসের শুরুতে বাংলাদেশ দল যে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে রাওয়ালপিন্ডি যাবে, সেটি আর ভাড়া করা বিমানে নয়। বিসিবি এবার স্বাভাবিক ফ্লাইটেই যেতে চাইছে পাকিস্তানে।

২২ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘মেঘদূত’ উড়োজাহাজে পাকিস্তানে যায় বাংলাদেশ দল। একই বিমানে কাল দিবাগত রাতে দেশে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহরা। বাংলাদেশ বিমানের যে ভাড়া করা উড়োজাহাজ ব্যবহার করেছে বিসিবি, সেটির ধারণক্ষমতা ছিল ১৬২ জন। যাওয়া-আসায় বিসিবিকে গুনতে হয় প্রায় দেড় লাখ মার্কিন ডলার (১ কোটি ২৭ লাখ টাকা)। ভাড়া করা উড়জাহাজে যাতায়াত করায় ক্রিকেটারদের ঝক্কি যেমন কমেছিল, সময়ও বেঁচেছিল অনেক।

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আবার পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ দল। এবার কাতার এয়ার ওয়েজের ফ্লাইটে। রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট শুরু ৭ ফেব্রুয়ারি। দোহায় যাত্রাবিরতি দিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টার বিমানভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ দল ইসলামাবাদে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়। এরপর ইসলামাবাদ থেকে রাওয়ালপিন্ডির দূরত্ব ৩০ মিনিটের। টেস্ট শেষে বাংলাদেশ ঢাকায় রওনা দেবে ১২ ফেব্রুয়ারি। কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে যাওয়া-আসার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান, ‘এবার ভাড়া করা বিমান নয়, দল যাবে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে।’

পাকিস্তান সফরের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে আকরাম জানালেন, বেশিরভাগ সময়ই তাঁদের কেটেছে হোটেল আর মাঠে। বিসিবি যে তালিকা পাঠিয়েছিল পিসিবিকে, তাঁদের কারও হোটেল আর মাঠের বাইরে যাওয়ার সুযোগ ছিল না। দলের একাধিক ক্রিকেটারও বলেছেন একই কথা। খুব একটা ঘোরাঘুরি সুযোগ না থাকলেও সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা নিয়ে খেলোয়াড়েরা সন্তুষ্ট। অতৃপ্তি একটাই—ব্যর্থতা নিয়ে ফিরতে হয়েছে দেশে।