প্রথম শ্রেণির ইতিহাসে এমন কিছু এর আগে দেখা যায়নি

মধ্য প্রদেশের পেসার রবি যাদব। ছবি: টুইটার
মধ্য প্রদেশের পেসার রবি যাদব। ছবি: টুইটার
>

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচে প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিকের নজির গড়লেন ভারতের পেসার

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাস আজকের নয়। ক্রিকেটের হামাগুড়ি দেওয়ার দিন থেকে আজ পর্যন্ত সংস্করণটি এই খেলার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এ সংস্করণে আছে অবিশ্বাস্য আর বিচিত্র সব রেকর্ডও। স্যার জ্যাক হবসের ১৯৯ সেঞ্চুরি, ব্রায়ান লারার ৫০১*, ফ্রাঙ্ক উলির ১০১৮ ক্যাচ কিংবা উইলফ্রেড রোডসের গড়া ৪২০৪টি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। এসব কে কবে ভাঙতে পারবেন কে জানে! তবে এসবের বাইরেও কিছু রেকর্ড আছে যা শুনলে মুখ থেকে অস্ফুটে বেরিয়ে আসে—কীইই! যেমন ধরুন, প্রথম শ্রেণিতে অভিষেক ম্যাচে প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক!

বিষয়টি এখন আর কল্পনা নয়, রবি যাদবের কল্যাণে অবিশ্বাস্য বাস্তবতা। রঞ্জি ট্রফিতে পরশু এমন নজিরই গড়েছেন মধ্য প্রদেশের বাঁহাতি এ পেসার। উত্তর প্রদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন ঘটনা এই প্রথম। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার লেগি রাইসি ফিলিপস প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেটি তাঁর অভিষেক ম্যাচ ছিল না। ১৯৩৯-৪০ মৌসুমে বোর্ডারের হয়ে ওই ম্যাচের আগে আর চার ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

অভিষেকে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন আরও সাত ভারতীয় ক্রিকেটার। জাভাগাল শ্রীনাথ, সলিল আঙ্কোলা ও অভিমন্যু মিঠুন তাঁদের মধ্যে কিছুটা পরিচিত। কিন্তু অভিষেকে রবির প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক তুলে নেওয়ায় কীর্তিটি সবকিছু ছাপিয়ে গেছে। মজার বিষয় হলো, রবি যে অঞ্চল থেকে উঠে এসেছেন সেখানকার দলের বিপক্ষেই পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা—উত্তর প্রদেশ। ২৮ বছর বয়সী এ পেসার অবশ্য রঞ্জিতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার হতে পেরেই সন্তুষ্ট। ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মাঝে চোটের কারণে ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন রবি। আর খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়েই সংশয় ছিল। লক্ষ্ণৌর স্পোর্টস কলেজ থেকে ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে উঠেছেন তিনি। এ কলেজ থেকে উঠে এসেছেন সুরেশ রায়না ও আরপি সিংয়ের মতো ক্রিকেটার। রায়নার টেস্ট অভিষেকের আগে নেটে তাঁকে বলও করেছেন রবি।

হ্যাটট্রিক নিয়ে রবি বলেন, ‘নিজের এলাকা উত্তর প্রদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছি। জানি না এটা সৌভাগ্য কি না। উত্তর প্রদেশেই ক্রিকেটার হিসেবে আমার বেড়ে ওঠা। কিন্তু সেখানকার দলে সুযোগ হয়নি। ২০১০ সালের দিকে রায়না ভাইকে বেশ কয়েকবার বল করেছি, তার টেস্ট অভিষেকের আগে। তার মনে আছে কি না আমি জানি না।’